বৃহস্পতিবার, ৫ই ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মাজারে গান-বাজনা, জুয়া-শিরক বন্ধের দাবিতে  নাঙ্গলকোটে ইউএনও-ওসিকে স্মারকলিপি

মাজারে গান-বাজনা, জুয়া-শিরক বন্ধের দাবিতে নাঙ্গলকোটে ইউএনও-ওসিকে স্মারকলিপি

১৬৭ Views

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিভিন্ন মাজারে অনৈসলামিক কার্যক্রম, গান-বাজনা, জুয়া ও শিরক বন্ধের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে স্মারকলিপি দিয়েছে ওলামা মাশায়েখ পরিষদ। গত সোমবার (২৩শে সেপ্টেম্বর) ইউএনও সুরাইয়া আক্তার লাকী ও থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে ফজলুল হকের কার্যালয়সহ উপজেলার বিভিন্ন কার্যালয়ে এ স্মারকলিপি দেয়া হয়।

            স্মারকলিপিতে বলা হয়, উপজেলার হিয়াজোড়া গ্রামের গনি শাহ মাজারের গোলাম মঈন উদ্দিন টিপু এবং ফতেপুর গ্রামের পেটেনশাহ, দৌলখাড় গ্রামের বদনাশাহ মাজারসহ বিভিন্ন মাজারের তথাকথিত পীরগণ বিভিন্ন সময়ে অনৈসলামিক কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। তারা বিভিন্ন সময় দাবি করেন, ‘মুর্শিদই খোদা, মুর্শিদই রাসুল, সকল ভরসা মুর্শিদের ওপর, বাবা-ই বাঁচাবে কেয়ামতে, নামাজের কথা কুরআনে নাই, এটি মোল্লাদের তৈরি, জানাজার নামাজের কোনো ভিত্তি নেই, মরণকালে কালিমা-কালামের কোনো ভিত্তি নেই, রহমত পেতে হলে বাবার দরবারে যেতে হবে, মুর্শিদের দরবারই ভক্তের কাবাঘর, ভক্তদের হজ এখানেই, গান-বাজনা করা জায়েজ, মুর্শিদের গোলামি ছাড়া আল্লাহ পাওয়া সম্ভব নয়, ভান্ডারির পূজা করি আল্লাহকে চিনি না, নামাজ পড়লে আল্লাহ পাওয়া যায় না, আমার জান গাউসে বাগদাদ নিবে আজরাইল আসবে না, মুয়াবিয়াকে সাহাবি মানলে আবু জাহেলকে সাহাবি মানতে হবে, মুর্শিদের চরণে সেজদা দিলে বড় হজের সওয়াব হয়, নামাজে কুরআনের আয়াত পড়া খ্রিস্টানদের কাজ, যৎকিঞ্চিৎ গাঁজা খাওয়া জায়েজ।’ এসব কথা বলে তারা সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করেন। এসব অনৈসলামিক কথাবার্তা ও কার্যক্রম বন্ধে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন আলেম-ওলামাগণ।

            স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন, সিংগুরিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা এয়াকুব, তিলিপ দরবার শরিফের পীর মাওলানা শাহ সুফি রুহুল আমিন, জাতীয় ইমাম সমিতি নাঙ্গলকোট উপজেলার সভাপতি মুফতি ওলি উল্লাহ, নাওগোদা মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মীর সোলাইমান, মৌকারা মাদরাসার সহকারী অধ্যাপক মাওলানা আ জ ম সাইফুল্লাহ, নাঙ্গলকোট সরকারি কলেজ মসজিদের খতিব মাওলানা আব্দুল কাদের জসিম, শিহর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা নুরুল আমিন, বাম মোবারকপুর মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মুসলেহ উদ্দিন, নারানদিয়া মাদরাসার মুহতামিম মাওলানা মামুনুর রশিদ, নাঙ্গলকোট বাজার বড় মসজিদের ইমাম মাওলানা আলমগীর, নাঙ্গলকোট ক্যাডেট মাদরাসার পরিচালক মাওলানা মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, বেনিফিটস ফর উম্মাহ ফাউন্ডেশনের পরিচালক মুফতি সাজ্জাদ হোসাইন রাহাতসহ প্রমুখ।

            এ ব্যাপারে নাঙ্গলকোট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, ‘আলেম-ওলামারা আমার নিকট স্মারকলিপি দিয়েছেন, আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করব। নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’

Share This