বুধবার, ১৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

মুরাদনগরে ছাত্রী উত্ত্যক্তের অভিযোগে পাল্টাপাল্টি হামলায় ১০ জন আহত

মুরাদনগরে ছাত্রী উত্ত্যক্তের অভিযোগে  পাল্টাপাল্টি হামলায় ১০ জন আহত
Views

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার মুরাদনগরে স্কুল ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগে ২ স্কুলছাত্রকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ওই ছাত্রীর ভাইসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে। এ সময় তাদের রক্ষা করতে হামলার শিকার হয়েছন ২ শিক্ষক। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বহিরাগতদের মারধর এবং দু’টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে।

            উপজেলার ধামঘর ইউনিয়নের পরমতলা শব্দর খান উচ্চ বিদ্যালয়ে গত বুধবার সকালে এসব ঘটনা ঘটে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। পরে পুলিশ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাসান খান এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

            পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরমতলা শব্দর খান উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগ ওঠে নবম শ্রেণির এক ছাত্রের বিরুদ্ধে। গত বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ওই ছাত্রকে খুঁজতে আসেন ছাত্রীর ভাইসহ ৫ জন বহিরাগত। এ সময় ওই ছাত্রকে না পেয়ে তারা তার ২ বন্ধুকে ধরে নিয়ে বিদ্যালয়ের গেটের বাইরে মারধর করেন। বিষয়টি দেখতে পেয়ে বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বাধা দিলে তার ওপরও হামলা চালায় বহিরাগতরা। বিষয়টি বিদ্যালয়ে জানাজানি হলে ক্ষুদ্ধ শিক্ষার্থীরা বহিরাগতদের ওপর হামলা চালায়। এসব ঘটনায় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন ও শিক্ষক জহিরুল ইসলামসহ ২ পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বহিরাগতদের দু’টি মোটর সাইকেল ভাঙচুর করে।

            খবর পেয়ে মুরাদনগর থানা পুলিশ ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাকিব হাসান খান ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন। পরে ছাত্রীর ভাইসহ বহিরাগত ৫ জনকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে মুরাদনগর থানায় নেয়া হয়।

            বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন বলেন, ‘ছাত্রীকে উত্ত্যক্তের অভিযোগের বিষয়টি বিদ্যালয়ের কারোরই জানা নেই। আগেরদিন বিকেলেও ওই বহিরাগত ছেলেগুলো নবম শ্রেণির এক ছাত্রকে তুলে নিতে বিদ্যালয়ে এসেছিলেন। তখন তাদের বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছিলাম। তারা সেটি না করে দু’জন শিক্ষার্থীকে টানাহেঁচড়া করে বিদ্যালয়ের বাইরে নিয়ে মারধর করেন। আমি প্রতিবাদ করাতে তারা আমাকেও ধাক্কা দেন। এ সময় শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে বহিরাগতদের মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে তাদের আটকে রাখে।’

            এ বিষয়ে ওই ছাত্রীর ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে তাদের সঙ্গে থাকা একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, শিক্ষকেরা যদি শিক্ষার্থীদের শান্ত করতেন, তাহলে এমন ঘটনা হতো না। তারা মূলত বিষয়টি শিক্ষকদের জানানোর জন্য গিয়েছিলেন।

            মুরাদনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহিদুর রহমান বলেন, পুলিশ ৫ জনকে উদ্ধার করে থানায় এনেছিল। পরে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, কিছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ডাকা হয়। সবার সঙ্গে আলোচনা করে মুচলেকা নিয়ে ৫ জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। শিক্ষার্থীরা মোটরসাইকেল ভাঙচুর এবং ছাত্রীর ভাইসহ বহিরাগতদের মারধর করেছে। তবে আলোচনায় বসার পর কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি। আর শিক্ষার্থীরাও ছোট, এ জন্য বিষয়টি সমাধান করে দেয়া হয়েছে।

Share This

COMMENTS