শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত:  প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

            ষ্টাফ রিপোর্টার\ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, বিশ্ব গাজায় হত্যাকান্ড প্রত্যক্ষ করছে, কিন্তু তা বন্ধে কেউ কোনো কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। ফিলিন্তিনের ফতেহ আন্দোলনের (শাসক দল) মহাসচিব লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরেল আলরজউব গত রোববার (২৪শে মার্চ) সকালে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে এলে তিনি এ কথা বলেন। বৈঠকের পর প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। নজরুল ইসলাম বলেন, ‘গাজায় ইসরায়েলি হামলার বিষয়ে নীরব অবস্থানের জন্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোর কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এটি একধরনের ভন্ডামি।’

            মুসলিম উম্মাহর ঐক্যের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর প্রদান করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ থাকা উচিত এবং এটি করা উচিত মুসলিম উম্মাহর নিরাপত্তা এবং ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা লাঘবের জন্য।’

এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী ১৯৬৭ সালে গৃহীত প্রস্তাব অনুসরণ করতে বলে বলেন, ‘যাতে বলা হয়েছিল যে পূর্ব জেরুজালেম ফিলিস্তিনের রাজধানী হবে।’

            প্রধানমন্ত্রী ফিলিস্তিনিদের প্রতি তাঁর দ্ব্যর্থহীন সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে গাজায় নারী-শিশুসহ হাজার হাজার মানুষ হত্যাসহ ইসরায়েলি বাহিনীর হাসপাতালে হামলার নিন্দা করেন। তিনি গাজায় মৃত্যুর জন্য শোক প্রকাশ করেন এবং গাজায় অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবি জানান।

            শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ইতিমধ্যে মিসরের মাধ্যমে ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য ২ দফা ত্রাণ সহায়তা পাঠিয়েছে। আমি যেখানেই সুযোগ পেয়েছি ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য আন্তর্জাতিক ফোরামে সব সময় আওয়াজ তুলেছি।’

            আওয়ামী লীগ শাসনামলে ১৯৯৭ সালে ইয়াসির আরাফাতের বাংলাদেশ সফরের কথাও স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী। ফিলিস্তিনের ফতেহ আন্দোলনের মহাসচিব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে তাঁর নিঃশর্ত সমর্থন এবং বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোরামে ফিলিস্তিনিদের পক্ষে আওয়াজ তোলার জন্য ধন্যবাদ জানান।

            লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরেল আলরজউব বলেন, ‘অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করা দরকার এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উচিত এই উদ্দেশে দ্রæত পদক্ষেপ নেয়া। সেখানে খাদ্যের তীব্র সংকট বিরাজ করছে এবং মানুষ অনাহারে রয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে খাদ্য সহায়তা প্রয়োজন।’

            লেফটেন্যান্ট জেনারেল জেবরেল আলরজউব বলেন, ‘ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতিই এই সংকট সমাধানের একমাত্র পথ। আরবদেশগুলোতে ৪০০ মিলিয়ন মানুষ বসবাস করলেও তারা ঐক্যবদ্ধ নয়। তারা ঐক্যবদ্ধ হলে ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন সহজেই বন্ধ হয়ে যাবে। আরববিশ্বের শক্তি ও সম্পদ আছে, শুধু ঐক্যই ইসরায়েলি আগ্রাসন বন্ধ করতে পারে।’

            তিনি আরো বলেন, ‘এই যুদ্ধ বন্ধ না হলে আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও বৈশ্বিক শান্তি কখনোই প্রতিষ্ঠিত হবে না।’ তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে দৃঢ় ভূমিকার জন্য বাংলাদেশকে ধন্যবাদ জানান। ফিলিস্তিনের ফতেহ আন্দোলনের মহাসচিব প্রধানমন্ত্রীর কাছে ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের একটি চিঠিও হস্তান্তর করেন। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Share This