শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

<span class="entry-title-primary">রাষ্ট্রপতিকে দেয়া স্মারকলিপিতেও ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম</span> <span class="entry-subtitle">গুলিস্তানের পাতাল মার্কেটের সামনে কোটা আন্দোলনকারীরা। ছবি : সংগৃহীত</span>

রাষ্ট্রপতিকে দেয়া স্মারকলিপিতেও ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম গুলিস্তানের পাতাল মার্কেটের সামনে কোটা আন্দোলনকারীরা। ছবি : সংগৃহীত

ষ্টাফ রিপোর্টার: রাষ্ট্রপতিকে দেয়া স্মারকলিপিতে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন কোটাবিরোধী আন্দোলনকারীরা। এ সময়ের মধ্যে সরকার যদি কোনো সিদ্ধান্তে না যায়, তাহলে আরো কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করবে কোটাবিরোধী আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ রোববার দুপুর ৩টার দিকে শিক্ষার্থীদের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিবের কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। বঙ্গভবন থেকে বের হয়ে প্রতিনিধিদলটি গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানায়।
‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন’ এর সমন্বয়ক সার্জিস আলম, নাহিদ ইসলামসহ মোট ১২ জনের একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির কাছে স্মারকলিপি দিতে যায়। এরপর বিকেল ৩টার দিকে প্রতিনিধিদলকে বঙ্গভবন থেকে বের হতে দেখা যায়। এ সময় প্রতিনিধিদল আবারও গুলিস্তান বঙ্গবন্ধু চত্বরে ফিরে আসে। পরবর্তী কর্মসূচি ঘোষণা করে সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, আজকে আমরা রাষ্ট্রপতির কাছে এসেছি। রাষ্ট্রের অভিভাবক হিসেবে আমরা চাচ্ছি সরকারের কাছে যেহেতু আমরা আশ্বাস পাচ্ছি না, আমরা চাই তিনি হস্তক্ষেপ করে জাতীয় সংসদে আমাদের যে এক দফা দাবি, সে এক দফা দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সংসদে আইন পাস করতে ভূমিকা রাখবেন এবং প্রয়োজনে জরুরি অধিবেশন আহ্বান করবেন। আমরা আমাদের স্মারকলিপিতে রাষ্ট্রপতির কাছে ২৪ ঘণ্টার জন্য একটি সুপারিশ করেছি। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আমরা চাই সংসদে অধিবেশন ডেকে সেটার আইন পাসের জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া হোক অথবা অধিবেশন আহ্বান করা হোক।
তিনি আরো বলেন, আমরা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যবেক্ষণ করব সরকারের তরফ থেকে রাষ্ট্রপতির তরফ থেকে এবং দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের পক্ষ থেকে কী ধরনের বক্তব্য এবং পদক্ষেপ আসতেছে, সেটা পর্যবেক্ষণ করে আমরা আমাদের পরবর্তী কর্মপরিকল্পনা ঠিক করব। শাহবাগ থানায় আমাদের নামে যে অজ্ঞাতনামা মামলা করা হয়েছে, আমরা বলেছিলাম যে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সেটি প্রত্যাহার করতে হবে। আমরা সেটি আরো ২৪ ঘণ্টা বাড়িয়ে দিচ্ছি আজকে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যদি মামলা প্রত্যাহার করা না হয় তাহলে কিন্তু আমাদের কর্মসূচি কঠোর থেকে কঠোর হবে।

Share This