রেলওয়ের স্টাফদের কর্মবিরতিতে সারাদেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ, ভোগান্তিতে যাত্রীরা


রেলওয়ের স্টাফদের কর্মবিরতির ফলে সারা দেশে ট্রেন চলাচল বন্ধ রয়েছে। গতকাল সোমবার মধ্যরাতের পর থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়, এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা।
সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে অনেক যাত্রীকে ট্রেনের অপেক্ষায় বসে থাকতে দেখা যায়। তাঁদের অনেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকার বিষয়ে অবগত ছিলেন না। সকাল সোয়া ৯টার দিকে অনেক যাত্রী ট্রেনের খবর জানতে স্টেশনে আসেন। ট্রেন না চলার খবর পেয়ে অনেকে ফিরে যান, তবে বয়স্ক ও নারী যাত্রীদের স্টেশনেই অপেক্ষা করতে দেখা যায়।
রাজশাহী, চট্টগ্রাম, খুলনা, পঞ্চগড়, দিনাজপুরসহ বিভিন্ন স্টেশনে যাত্রীদের ট্রেনের অপেক্ষায় থাকতে দেখা গেছে। অনেকেই বিকল্প পথে গন্তব্যে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
রানিং স্টাফরা দীর্ঘদিন ধরে মূল বেতনের সঙ্গে রানিং অ্যালাউন্স যোগ করে পেনশন ও আনুতোষিক সুবিধার দাবি জানিয়ে আন্দোলন করে আসছেন। গত বুধবার চট্টগ্রামের পুরোনো রেলস্টেশনে এক সংবাদ সম্মেলনে রেলওয়ে রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়ন ২৭ জানুয়ারির মধ্যে দাবি মানার শর্ত দিয়েছিল। দাবি পূরণ না হলে ২৮ জানুয়ারি থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ করার ঘোষণা দেয় তারা।
রানিং স্টাফদের মধ্যে গার্ড, ট্রেনচালক (লোকোমাস্টার), সহকারী চালক ও টিকিট পরিদর্শক (টিটিই) অন্তর্ভুক্ত। তারা দীর্ঘ সময় ট্রেনে দায়িত্ব পালন করেন এবং আট ঘণ্টার বেশি কাজ করলে মূল বেতনের ভিত্তিতে বাড়তি অর্থ পেতেন। অবসরের পরও মূল বেতনের সঙ্গে ৭৫ শতাংশ যোগ করে অবসরকালীন অর্থ হিসাব করা হতো।
তবে ২০২১ সালের ৩ নভেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয় এই সুবিধা সীমিত করে। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান জানিয়েছেন, আন্দোলনরত কর্মীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। তিনি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের কথা বিবেচনা করে ট্রেন চালু রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।