লাকসামের জনপ্রিয় সাপ্তাহিক ‘লাকসামবার্তা’ এবং সুযোগ্য সম্পাদক শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া’র কথা!


আজিম উল্যাহ হানিফ
হাঁটি হাঁটি পা পা করে ‘লাকসামবার্তা’ নামক পত্রিকাটি ৩ দশকে পৌঁছেছে। বলা যেতে পারে.. সংবাদপত্র জগতে মফস্বল অঞ্চলের জনপ্রিয় ও বহুল প্রচারনার সুবাদে বর্তমানে সাপ্তাহিক ‘লাকসামবার্তা’ অত্র এলাকার একটি নিরপেক্ষ আলোকবর্তিকা পত্রিকা হিসেবে গণ্য হয়েছে নিঃসন্দেহে!
কুমিল্লা জেলার লাকসাম থেকে নিয়মিতভাবে প্রকাশিত পত্রিকাটি দলমত নির্বিশেষে দীর্ঘদিন ধরে মফস্বলের মাটি ও মানুষের পক্ষে লেখালেখিতে নিরলসভাবে ভূমিকা পালন করে আসছেন। অগ্রাধিকার ভিত্তিতে স্থানীয় নানা সমস্যা-সংকটের অসংখ্য সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণের ফলে এলাকাবাসীরাও অনেক ক্ষেত্রেই উপকৃত হচ্ছেন!
উল্লেখ থাকে যে, দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকার নিজস্ব সংবাদদাতা হিসেবে নিয়োজিত থাকাকালে ১৯৯৬ সালে শহীদুল্লাহ ভূঁইয়ার সম্পাদনায় সাপ্তাহিক লাকসামবার্তা পত্রিকাটি যাত্রা শুরু করেছিলেন। তখন থেকে দীর্ঘ ৩ দশক ধরে একটানা নিরপেক্ষতার সাথে পত্রিকাটি তার নিজস্ব স্টাইল এবং ধারায় নিয়মিত দৌলতগঞ্জ বাজারের গুরুত্বপূর্ণ দিনে প্রতি বুধবার লাকসাম ব্যাংক রোডের নিজস্ব ঠিকানা থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। প্রকাশের পর থেকে দেশের অনেক স্থানে ডাক ও কুরিয়ার সার্ভিসযোগেও লাকসামবার্তা পত্রিকা চলে যাচ্ছে অনেক গ্রাহক ও পাঠকদের হাতে। কেউ কেউ অফিসে গিয়েও পত্রিকাটি ক্রয় করে থাকেন। পত্রিকাটি যখন যাত্রা শুরু করা হয়- তখন মফস্বল এলাকায় এত এভেইল-এবল পত্রিকা বা সংবাদমাধ্যম ছিল না। ছিলনা মোবাইল, কম্পিউটার কিংবা ইন্টারনেট! তখন অনেক দু:সাধ্য ও কষ্টকরই ছিল পত্রিকা প্রকাশনার ক্ষেত্রে। তথাপিও তীক্ষ বুদ্ধিমত্তা ও নিজ মেধাকে পত্রিকার মধ্যেই ডুবে রেখেছিলেন বৃহত্তর লাকসামের প্রিয় সাংবাদিক ও আজকের দিনের জনপ্রিয় সাপ্তাহিক লাকসামবার্তা পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে বহুল পরিচিত মুখ এই শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া। পড়াশোনা শেষে তিনি দৈনিক সংবাদ, দৈনিক খবর ও চিত্রবাংলা’র নিয়োগপত্র প্রাপ্ত নিজস্ব সাংবাদিক হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।
বলা বাহুল্য, কালের বিবর্তনে সাপ্তাহিক লাকসামবার্তা পত্রিকাটি আজ লাকসাম উপজেলা এলাকার বাইরে বিভিন্ন স্থানেও ছড়িয়ে গেছে। সরকারি মিডিয়া তালিকাভুক্ত পত্রিকা হিসেবে লাকসামবার্তা দেশের মফস্বলে সর্বাধিক প্রচারিত একটা সাপ্তাহিক পত্রিকা হিসেবে গণ্য হয়েছে।
মূলতঃ দেশের আনাচে-কানাচে, দূর-দূরান্তে রয়েছে পত্রিকাটির অনেক পাঠক, গ্রাহক, শুভাকাঙ্খী ও শুভানুধ্যায়ী। উপরন্তু, অত্রাঞ্চলের বহু সংবাদকর্মী ও লেখকের হাতে খড়ি ঘটেছে এ পত্রিকাটির মাধ্যমে। ‘লাকসামবার্তা’ পত্রিকার অভিজ্ঞতা নিয়ে অনেকে আজ জাতীয় পত্রিকার গুরুত্বপূর্ণ পদে উঠেছেন এবং বিভিন্ন টিভি চ্যানেলেও সুনামের সাথে কাজ করছেন। কেউ কেউ পত্রিকা পর্যন্ত বের করেছেন। বিশেষ করে বিজ্ঞাপনের চেয়ে এলাকার সমস্যা-সংকটের সংবাদকেই সর্বদা বেশি গুরুত্ব দিয়ে আসছেন সাপ্তাহিক লাকসামবার্তা পত্রিকাটির যাত্রা লগ্ন থেকেই। ফলে পত্রিকার শুরু থেকে শেষ লাইন পর্যন্ত পাঠ করতে অনেক পাঠকেরা সপ্তাহের বুধবারের অপেক্ষা করেও দিন গুনতে থাকেন! পত্রিকাটি কোনো কারণবশত: বা সরকারি ছুটি অনুযায়ী কোনো সংখ্যা প্রকাশিত না হলে- গ্রাহক ও পাঠকদের মুঠোফোনের আকুলতায় পত্রিকার প্রতি মায়া/ টান শুনলেও বুঝা যায় পাঠক ও গ্রাহকের কাছে কতটা আপন হয়ে উঠেছেন সাপ্তাহিক লাকসামবার্তা?
তবে.. লাকসামবার্তা’র সম্পাদক ও প্রকাশক শহীদুল্লাহ ভূঁইয়া কুমিল্লা’র বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (ডিসি) মহোদয়ের অবগতি সাপেক্ষে পারিবারিক প্রয়োজনে বছরে ২/৩ বার এবং সর্বোচ্চ ৪/৬ মাসের জন্য প্রায়ই মার্কিন মুল্লুকে যাতায়াত করে থাকছেন। তখন সম্পাদকের অবর্তমানে (কুমিল্লার বিজ্ঞ জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মহোদয়ের) সরকারী অনুমোদন ক্রমে লাকসামবার্তা পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক ও প্রকাশক হিসাবে দায়িত্ব পালন করে থাকেন- সাবেক হাইস্কুল হেড মাস্টার তোফায়েল আহমেদ। এ সময় তিনিও অত্যন্ত দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার সাথেই যথা নিয়মে লাকসামবার্তা পত্রিকা পরিচালনা করে থাকছেন।
যাহোক্- লাকসামবার্তা পত্রিকার একজন খন্ডকালীন প্রতিনিধি ও আন্তরিক শুভাকাঙ্খী হিসেবে আমি নিজেও সদা-সর্বদাই প্রত্যাশা করে থাকছি যে, পত্রিকাটি তার নিজস্ব গতিতে ভবিষ্যতে আরো এগিয়ে যাক, দীর্ঘদিন মানব সেবায় নিয়োজিত থাকুক এবং উত্তরোত্তর আরো সফলতা লাভ করুক! পাশাপাশি আল্লাহ রাব্বুল আ’লামীনের দরবারে কামনা করছি- পত্রিকাটির সুযোগ্য প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক শহীদুল্লাহ ভূইয়া’র দীর্ঘায়ুও সুস্থতার জন্যেও। লেখক: কবি ও কলামিস্ট। -০১৮৩৪-৩৮৯৮৭১