লাকসামে ছাত্রলীগ নেতা অনিক হত্যার বিচার দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল
ষ্টাফ রিপোর্টার\ কুমিল্লার লাকসামে ছাত্রলীগ নেতা অনিক হত্যার বিচার দাবীতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে লাকসাম উপজেলা ও পৌরসভা ছাত্রলীগ। অনিক পৌরসভা ছাত্রলীগের সহসভাপতি ছিল। গত শুক্রবার তার হত্যার এক বছর পূর্ণ হয়। কিন্তু এখনো অধরা শীর্ষ দুই খুনি ছাত্রদল নেতা সাইমুন রহমান রকি ও শাকিল। বাকীরা বিভিন্ন মেয়াদে সাজা খেটে বর্তমান জামিনে রয়েছে।
ছাত্রনেতা অনিক হত্যা মামলার প্রধান ২ আসামিসহ অন্য আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে দলের নেতাকর্মী ও ভুক্তভোগী পরিবার মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল করেছেন। বিক্ষোভ মিছিলে খুনিদের কুশপুত্তলিকাও দাহ্য করা হয়।
শুক্রবার সকালে লাকসাম উপজেলা আওয়ামী লীগ দলীয় কার্যালয় থেকে ছাত্রলীগের নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের বাইপাসে তারা মানববন্ধন ও প্রধান খুনি রকি-শাকিলের কুশপুত্তলিকা দাহ্য করে। পরে বিক্ষোভ মিছিলটি দলীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।
বিক্ষোভ মিছিল শেষে মানববন্ধনে আওয়ামী নেতাকর্মীরা বলেন, মেধাবী ছাত্রনেতা ইফতেখার আহমেদ অনিকের হত্যার জবাব আমরা আইনীভাবে দিবো। রাজনৈতিক পরিস্থিতি আমরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলা করব। কখনো অস্ত্র হাতে নিবনা। আমরা মাননীয় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলামের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ ও সর্বোচ্চ ধৈর্যের পরীক্ষা দিচ্ছি। আমাদের উদ্দেশ্য হলো লাকসামে মাটিকে পবিত্র ও শান্ত রাখা। আশা করি আমাদের এই প্রতিবাদে অতিদ্রæত অনিক হত্যার মূল আসামীরা আইনের আওতায় আসবে। আগামীদিনে বিএনপি জামায়াতের কোন সন্ত্রাসীকে লাকসামের মাটিতে ঠাই দেবোনা।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রফিকুল ইসলাম হিরা, উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক ও পৌর মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের, উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ইউপি চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, উপজেলা যুবলীগের সদস্য শিহাব খান, সাজেদুল ইসলাম সজল, মোঃ সাইফুল ইসলাম, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি সালাহউদ্দিন সানি, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম তুষার, পৌরসভা ছাত্রলীগ সভাপতি সাইফ খান স্বাধীন, সাধারণ সম্পাদক কাউছার আহমেদসহ উপজেলা ও পৌরসভা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ২১শে জুন লাকসাম দক্ষিণ বাইপাস সুরক্ষা হাসপাতালের সামনে ছাত্রদল ও যুবদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী ছাত্রলীগ নেতা ইফতেখার অনিক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম সৌরভ ও সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আলমগীরের ওপর অতর্কিত হামলা ও মারধর করে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় অনিককে কুমিল্লা থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়। ২৮শে জুন তার মৃত্যু হয়।