বুধবার, ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

লাকসামে মাদরাসা ছাত্রী সামিয়া হত্যা নিয়ে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

লাকসামে মাদরাসা ছাত্রী সামিয়া হত্যা  নিয়ে পরিবারের সংবাদ সম্মেলন
Views

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার লাকসামে ইক্বরা মহিলা মাদরাসার ছাত্রী সামিয়া হত্যাকান্ডে সন্দেহভাজন মাদরাসা সুপার জামাল উদ্দিনসহ ৩ জনকে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে। গত সোমবার (২৮শে এপ্রিল) দুপুরে লাকসাম প্রেস ক্লাবে পরিবারের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান সামিয়ার মা শারমিন বেগম। আগেরদিন রোববার (২৭শে এপ্রিল) রাতে সামিয়াকে হত্যার অভিযোগ এনে তিনি লাকসাম থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন। এজাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) নাজনীন সুলতানা।

            সংবাদ সম্মেলনে সামিয়ার মা শারমিন বেগম অভিযোগ করে বলেন, সামিয়া ৫ম তলা থেকে ঝাপ দিয়ে নিচে পড়ে মারা গেছে বলে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ অপপ্রচার চালালেও তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। মাদরাসা সুপার জামাল উদ্দিন, শিক্ষক শারমিন ও দারোয়ান খলিলকে গ্রেফতার করে রিমান্ডে নিলে ঘটনার আসল রহস্য উদঘাটন হবে।

            এদিকে, সামিয়ার মৃত্যুর সংবাদ শুনে বাবা নিজাম উদ্দিন গত শনিবার (২৬শে এপ্রিল) বিদেশ থেকে দেশে ফিরেছেন। তিনি সামিয়াকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি জানিয়ে দ্রæত হত্যাকান্ডের বিচার চেয়েছেন।

            সংবাদ সম্মেলনে লাকসাম প্রেস ক্লাব ও লাকসাম সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ ও সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

            সামিয়ার মা শারমিন বেগম আরও বলেন, আমার মেয়েকে গত ১০ই মার্চ লাকসাম ইক্বরা মহিলা মাদরাসায় ভর্তি করানো হয়। ভর্তির একমাস পর আমার বড় বোন গত ১৩ই এপ্রিল সামিয়াকে ছুটি নিয়ে বাড়িতে ফেরত নিতে গেলে মাদরাসা সুপার জামাল উদ্দিন আমার বোন ও সামিয়াকে ধমক দেয়। এসময় দারোয়ান ধাক্কা দিয়ে আমার বোনকে বের করে দেয় এবং শিক্ষক শারমিন আমার মেয়ে সামিয়াকে টেনে-হিছড়ে মাদরাসার উপরে নিয়ে যায়। এসময় দুর থেকে সামিয়ার আর্তচিৎকার শুনতে পায় আমার বোন।

            তিনি বলেন, এ ঘটনার ৩ দিন পর বৃহস্পতিবার (১৭ই এপ্রিল) গভীর রাতে মাদরাসা থেকে ফোন করে আমাদেরকে লাকসাম আসতে বলে। লাকসাম আসলে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ জানান, সামিয়া মাদরাসার পাঁচ তলা ভবনের জানালার ফাঁক দিয়ে ঝাপ দিয়ে নিচে পড়েছে। পরদিন শুক্রবার (১৮ই এপ্রিল) দুপুরে সামিয়া ঢাকার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

            তিনি জানান, সামিয়া মারা যাওয়ার পূর্বে কালো বোরকা পরিহিত কেউ তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছে বলে আমাদেরকে বলে গেছে। তাই এটি নিশ্চিত একটি হত্যাকান্ড। এই বিষয়ে মামলা করতে গেলে লাকসাম থানা পুলিশ অপমৃত্যু মামলা নেয়। সর্বশেষ বিভিন্ন নাটকীয়তার পর পুলিশ মামলা গ্রহন করে।

Share This

COMMENTS