শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

লাকসাম-নাঙ্গলকোট সড়কের ২ কিলোমিটার ভেঙ্গে খালে

লাকসাম-নাঙ্গলকোট সড়কের ২ কিলোমিটার ভেঙ্গে খালে

            ষ্টাফ রিপোর্টার॥ কুমিল্লার লাকসাম-নাঙ্গলকোট সড়কের লাকসাম অংশে প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক ভেঙে ধেবে গেছে বেরুলা খালে। সম্প্রতি লাকসাম-নাঙ্গলকোট-চৌদ্দগ্রাম এ তিন উপজেলার ৩১ কিলোমিটার সড়কের ১৬ কিলোমিটার সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ১৫ কোটি ৫২ লাখ টাকা। যার কাজ পান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাসান টেকনো বিল্ডার্স লিমিটেডের মালিক নাজমুল হাসান পাখি।

            সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের অধিভুক্ত নাঙ্গলকোট-লাকসাম সড়কের দৈর্ঘ্য ৩২ কিলোমিটার। লাকসাম থেকে নাঙ্গলকোট হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের চৌদ্দগ্রাম উপজেলার চিওড়া গিয়ে সংযুক্ত হয়। ওই সড়ক দিয়েই ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ওঠা যায়। ইতিমধ্যে সড়কটির ১৬ কিলোমিটারের সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। এরই মধ্যে লাকসামের ফতেপুর হয়ে প্রায় ২ কিলোমিটার সড়ক জুড়ে ভাঙন দেখা দিয়েছে। যেভাবে সড়কের দক্ষিণ পাশ ভাঙছে তাতে ভারি বৃষ্টি বা ভারি যানচলাচল করলে আরো ভেঙে পুরো রাস্তাই চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়বে। এতে যোগাযোগ ব্যবস্থা বন্ধ হয়ে যাবে তিন উপজেলার মানুষের।

            সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের লাকসাম অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী বশির খাঁন বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ওই সড়কের সংস্কারের কাজ শেষ করেছে। এখনো কাজটি বুঝিয়ে দেয় নাই। তবে যেখানে যে কাজ ধরা ছিল সেখানে সেই কাজ করেছে তারা।

            বাঁশ আর টিনের গার্ডওয়ালের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, গত বছর লাকসাম এলজিআরডি অফিস থেকে বেরুলা খালটি খনন করা হয়। আমরা বলছি সড়কের পাশে না কাটার জন্য। সেই সঙ্গে খালটি যাতে গভীর করে কাটা না হয়। কিন্তু তারা আমাদের কথা শুনেনি তাই আজকে সড়কের পাশ ভেঙে পড়ছে। আপাতত বাঁশ আর টিন দিয়ে গার্ডওয়াল করে বস্তা দেয়া হয়। আবার কোথাও পিলার ও ব্ল­ক দিয়ে গার্ডওয়াল করা হয়। সব ভেঙে পড়ছে। তাই দ্রুত গার্ডওয়াল করার জন্য আরো ১ কোটি টাকা বরাদ্দ দেয়া। যে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজটি পাবে সেই তা সম্পন্ন করবে।

Share This