শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বনানীতে অভিভাবকদের প্রতিবাদ
শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি কোটা সংস্কার আন্দোলনে নেমে এলেন তাদের বাবা-মাও।
সায়মা আহমেদ জয়া নামের একজন অভিভাবক বলেন, বিক্ষোভের সময় নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে নিহতের ঘটনার বিচার চান।
‘আমাদের অনেক ছেলেকে গুলি করে মারা হয়েছে। এখন তাদেরকে ঘরে থাকতে দিচ্ছে না, আমরা ইয়াং ছেলেদের পড়াশুনা করতে পাঠাতে পারছি না, খেলতে পাঠাতে পারছি না। এভাবে তো চলতে পারে না।’
আরেকজন অভিভাবক মঞ্জুরুল আলম আন্দোলন থেকে বলছিলেন, “আমাদের আরো আগেই রাস্তায় দাঁড়ানো উচিত ছিল। কিন্তু আমরা পারিনি।”
প্রতিবাদে যোগ দিয়েছিলেন নাদিরুজ্জামান ও হুসনা জাহান শিউলি দম্পতি। তারা নেদারল্যান্ডসের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। সম্প্রতি ঢাকায় এসেছেন ছুটিতে।
নাদিরুজ্জমান বলেন, যে মানুষগুলোকে মারা হয়েছে, তাদের মারার পর এখন ব্র্যান্ডিং করা হচ্ছে– জামাত শিবির বলে। অন্যায়ের প্রলেপ দেওয়ার জন্য সেটার ওপরে আরও অন্যায় করা হচ্ছে।
অভিভাবকরা কিছুক্ষণ ফুটপাতে দাঁড়ানোর পর পুলিশ এসে তাদের সেখান থেকে সরে যেতে বলে। এ নিয়ে সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তার সঙ্গে অভিভাবকদের বচসাও হয়।
তথ্যসূত্র: বিবিসি।