সজনে পাতার ৮ উপকার
সজনে পাতাকে এখন বলা হচ্ছে অলৌকিক পাতা। বিজ্ঞানীরা দেখতে পেয়েছেন সজনে পাতায় আমিষ আছে ২৭ শতাংশ।
৩৮ শতাংশ হচ্ছে শর্করা (কার্বোহাইড্রেট)। ২ শতাংশ হচ্ছে ফ্যাট। ১৯ শতাংশ হচ্ছে ফাইবার বা আঁশ। সজনে পাতায় অ্যাসেনশিয়াল অ্যামাইনো অ্যাসিড আছে আটটি। ভিটামিন ‘এ’ এবং ভিটামিন ‘সি’ আছে। রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, জিংক, আয়রন এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। এতগুলো নিউট্রিয়েন্ট থাকার কারণেই সজনে পাতাকে অলৌকিক পাতা বলছেন বিজ্ঞানীরা।
সজনে পাতার উপকার
১. ডায়াবেটিসের চিকিৎসা
সজনে পাতার নির্যাস ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উপকার করতে পারে। যেমন, রক্তে শর্করা এবং ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করা এবং অঙ্গের ক্ষতি থেকে রক্ষা করা। সজনে কীভাবে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে তা সনাক্ত করার জন্য আরও গবেষণা প্রয়োজন।
২. উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে সজনে পাতা। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এক সপ্তাহ প্রতিদিন ১২০ গ্রাম করে রান্না করা সজনে পাতা খাওয়া ব্যক্তিদের রক্তচাপ অন্যদের তুলনায় কম ছিল।
৩. ফ্যাটি লিভার থেকে দূরে রাখবে
ননঅ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার রোগ থেকে আমাদের রক্ষা করে সজনে পাতা। শূকরের ওপর চালানো এক গবেষণায় দেখা গেছে, সজনে পাতা খাওয়ানো পশুদের কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসেরাইডের মাত্রা কম ছিল। এছাড়া তাদের লিভারে প্রদাহজনিত সমস্যা ছিল কম।
৪. ক্যান্সার প্রতিরোধ ও প্রতিকারে ভূমিকা
সজনে পাতা ক্যান্সার প্রতিরোধ ও প্রতিকারে ভূমিকা রাখে সজনে পাতা। সজনেতে নিয়াজিমাইসিন নামের এক উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সার সেল তৈরিতে বাধা দেয়। কিছু বিজ্ঞানীদের মতে সজনে পাতা, গাছ, ছালে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সার সেল ধ্বংস করে দিতে পারে।
৫. পাকস্থলী ভালো রাখবে সজনে পাতা
পাকস্থলীর অসুখে কাজে আসবে সজনে পাতা। সজনে পাতায় রয়েছে আশ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করবে। এক গবেষণায় দেখা গেছে, সজনে পাকস্থলীতে এসিডিটির মাত্রা ৮৫ শতাংশ পর্যন্ত কমিয়ে দেয়। যা থেকে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এটা পেপটিক আলসার প্রতিরোধে কার্যকর। সজনে পাতার অ্যান্টিবায়োটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য সংক্রমণের কারণ হতে পারে এমন প্যাথোজেনগুলির বৃদ্ধি রোধে সাহায্য করতে পারে।
৬. খাদ্যবাহিত ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের রোধ করে
গবেষণা বলছে, সজনে পাতায় এমন কিছু উপাদান রয়েছে যা কিছু খাদ্যবাহিত রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে।
৭. এটি প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে
সংক্রমণ থেকে রক্ষা করতে এবং শরীরের আঘাতপ্রাপ্ত টিস্যু পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াই প্রদাহ। দীর্ঘ সময় ধরে এই প্রক্রিয়া চালু থাকাকে প্রদাহ জনিত রোগ বলা হয়। সজনে পাতায় রয়েছে ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস, অ্যান্টিঅক্সিডেন্টস এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল যৌগ যা প্রদাহজনিত রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করে।
৮. দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
সজনে পাতায় আছে বেটা ক্যারোটিন নামের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দৃষ্টিশক্তি ভালো করতে এবং চোখের রোগ প্রতিরোধ করে।