সফলতার ২৯ বছরে পদার্পণ জনপ্রিয় সাপ্তাহিক ‘‘লাকসামবার্তা’’ অব্যহত থাকুক অপ্রতিরোধ্য পথ চলা


আলহামদুল্লিাহ!! প্রাচীণ ত্রিপুরার বৃহত্তর কুমিল্লার মিডিয়া জগতের এক উজ্জ¦ল নক্ষত্র স্বাধীণ বাংলার ঢাকা-চট্রগ্রাম ব্যতীত সমগ্র মফস্বলে সর্বাধিক প্রচারিত ও মিডিয়াভুক্ত জাতীয় সাপ্তাহিক লাকসামবার্তা। অগনিত পাঠক, সমর্থক, শুভানুধ্যায়ীদের অকৃত্রিম ভালবাসায় সিক্ত বহু বাধার প্রাচীর মাড়িয়ে
অগ্রযাত্রার ঊনত্রিশ বছরের পা দিল আমাদের ভালবাসার দর্পণ। আমি লাকসামবার্তার একজন নিয়মিত পাঠক, ভাল লাগার কারণ হচ্ছে এর সংবাদ পরিবেশনের বৈশিষ্ঠ। কখনো তা একপেশে হয় না। যে ঘটনা ঘটে, সেটাই বস্তনিষ্ঠতার সঙ্গে তুলে ধরে। এ অঞ্চলের গন-মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে এ পত্রিকার রয়েছে অনস্বীকার্য ভূমিকা। নিউজ ডেলিভারী, কাভারেজ করার ক্ষেত্রে নিরলস ও নিরন্তর প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে এক ঝাঁক সাংবাদিক এবং সফল সম্পাদক জনাব শহিদুল্লাহ ভূঁইয়া, সহযোগী সম্পাদক তোফায়েল আহমেদ যাদের নিরলস ভূমিকা ও কঠোর পরিশ্রম আর অধম্য সাহসের কারনেই লাকসামবার্তার সফল অগ্রযাত্রা বিদ্যমান রয়েছে। এ জনপদের মানুষের দুর্বিসহ জীবন-যাপনের যৌক্তিক সমস্যাবলী তুলে ধরার মাধ্যমে অনেক জটিলতার সফল সমাধান হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ। গনচেতনতা সৃষ্টির সদা নিয়োজিত আছে, এ জাতীয় সংবাদ পরিবেশনের ভূয়শী প্রসংশার দাবী রাখে। যেমন আমার চোখে দেখা নিউজ ‘‘নাঙ্গলকোটে অচেতন করে ৩ পরিবারের সর্বস্ব লুট’’ গ্রামের গভীর বুক চিরে এহেন দুর্লভ নিউজ পোর্টাল সংগ্রহ পেশাদারীত্ব ছাড়া সম্ভব নয়। কুমিল্লার গন্ডি পেরিয়ে সুধারাম তথা নোয়াখালী জেলার যাবতীয় সংবাদ পরিবেশন করতে দেখা যায়। চোর, ডাকাত, সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজী ও পেশী শক্তি প্রর্দশণকারীদের রক্তচক্ষুকে উপেক্ষা করে পাঠকের সামনে তুলে ধরে। বিশেষ করে ‘‘সোনইমুড়িতে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে মামলা করায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে পরিবার’’ আসলে বিভেকের দর্পণগুলো এভাবেই ছুটে চলে দিক
থেকে দিগন্তে। নিজ দেখা অভিজ্ঞতা থেকেই লিখছি আমাদের লাকসাম বাজারের প্রাচীণ ও দীর্ঘ দিনের মারাত্নক সমস্যাবলী যেমন ব্যাংক রোডের তীব্র যানজট, সামনীর পোলের পুরাতন সমস্যা, রাস্তার ধারে অবৈধ দোকান স্থাপন ইত্যাদী নিউজগুলো প্রশাসনের দৃষ্টি কামনা করলে তা এক পর্যায় সমাধানের কপাট খোলে যায়। স্থানীয় ও জাতীয় সমস্যবলী বার বার তোলে ধরার পর তা একটা সময় আর থাকেনি।
লাকসামবার্তা যে নিউজ কাভারেজ করে যথাসময়য়ে সে ক্ষেত্রে অন্য সংবাদ পত্রগুলো তার এক সপ্তাহ পর জাতির সামনে উপস্থাপন করে। মূলতঃ এটাই মানগত ফারাক। আমার ক্ষুদ্র পদাচণে দেখা দেশের স্বার্থকে বিসর্জণ দিয়ে কোন কালই লাকসামবার্তা কোন ধরনের তথ্য প্রচার করেনি। বরং দেশ গড়ার প্রত্যয়, বিজয়ের জয়গান, শ্লোগান লাকসামবার্তার সম্পাদকীয়ে পরিলক্ষিত হয়। যেমন, অগ্রযাত্রার ২৮ বছরের বিজয়ের সংখ্যার সম্পাদকীয়তে পাঠকের অন্তর জুড়িয়েছে ‘‘দেশ গড়ার শপথ নিতে হবে’’ এ ধরনের সময়ের দাবিদার লেখাগুলো লাকসামবার্তায় শোভা পায়। সর্বোপরি, গায়ক, নায়ক, কৃষক, বুদ্ধিজীবি, চাকরীজীবি, শিক্ষক পেশাজীবী দেশি-প্রবাসী সবধরণের মানুষের অধিকার রক্ষায় সদা সোচ্ছার। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে পত্রিকাটির সম্মানিত সম্পাদক, সহযোগী সম্পাদকসহ সব সাংবাদিকদের এবং এ পত্রিকা প্রকাশ, প্রচারের সঙ্গে যারা যুক্ত আছেন তাদের ও সকল শুভানুধ্যায়ীদেরকে
সফল অগ্রযাত্রার ২৯ বর্ষের আন্তরিক সুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। লেখকঃ সহকারি অধ্যাপক, সাহাপুর ফাযিল মাদরাসা, মনোহরগঞ্জ, কুমিল্লা ও খতিব, লাকসাম হাউজিং এস্টেট জামে মসজিদ।