বুধবার, ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির  প্রতিনিধিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে মন্ত্রনালয়

সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছে মন্ত্রনালয়

২৬ Views

            ষ্টাফ রিপোর্টার॥ হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে ১০ দফা নির্দেশনা জারি করেছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে অন্যতম সিদ্ধান্ত হচ্ছে, ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধিদের হাসপাতাল প্রাঙ্গণে প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি উভয় হাসপাতালের স্বাস্থ্যসেবার মানোন্নয়নে এই নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

            গত ১৮ই নভেম্বর মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের উপসচিব উম্মে হাবীবা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে এবং হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা কার্যক্রম অধিকতর উন্নয়নের লক্ষ্যে ১০টি নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে আহত রোগীদের চিকিৎসায় অগ্রাধিকার দিতে হবে। বিনামূল্যে চিকিৎসা নিশ্চিত করার পাশাপাশি প্রয়োজনে বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে রোগীর ওষুধের খরচও বহন করতে হবে।

            বেসরকারি হাসপাতালে কোনো রোগী যদি চিকিৎসার খরচ বহনে অক্ষম হলে যাচাইকৃত বিল ও ভাউচার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে জমা দিলে সরকার সেই খরচ বহন করবে। দেশে যাদের উন্নত চিকিৎসা সম্ভব নয়, তাদেরকে বিদেশে পাঠানোর প্রস্তাব অবশ্যই মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশসহ দ্রুত স্বাস্থ্য সেবা বিভাগে পাঠাতে হবে।

            হাসপাতালের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে ভিজিটর কার্ড চালু করতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়। ভিজিটর কার্ডবিহীন কোনো দর্শনার্থী হাসপাতালের ভেতরে বা রোগীর কক্ষে প্রবেশ বা অবস্থান করতে পারবেন না। এছাড়া চিকিৎসক ও চিকিৎসাসংশ্লিষ্ট সব কর্মীকে রোগী দেখার সময়সূচি ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার সময়সূচি যথাযথভাবে মেনে চলার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রোগীর অসুস্থতার ধরন অনুযায়ী বাছাই করে উপযুক্ত চিকিৎসকের কাছে পাঠাতে প্রতিটি হাসপাতালে রিসেপশন ডেস্ক স্থাপন বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। টিকেট কেনার প্রক্রিয়া সহজ করতে এবং সম্ভব হলে ডিজিটাল পদ্ধতি চালু করতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।

            এছাড়া উপযুক্ত কর্তৃপক্ষ কর্তৃক নিবন্ধিত বা সার্টিফায়েড ব্যক্তিরাই কেবল ব্যক্তি চিকিৎসা দেয়ায় যুক্ত থাকতে পারবেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের এই নির্দেশনার লক্ষ্য স্বাস্থ্যসেবায় শৃঙ্খলা ও দক্ষতা আনা এবং সাম্প্রতিক ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসায় অগ্রাধিকার নিশ্চিত করা।

Share This