বুধবার, ৩০শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সাংবাদিক রানার মুক্তি দাবি বিএফইউজে-ডিইউজের

সাংবাদিক রানার মুক্তি দাবি বিএফইউজে-ডিইউজের
৪৭৯ Views

            ষ্টাফ রিপোর্টার\ নকলা উপজেলার ইউএনও কার্যালয়ে তথ্য চাইতে গিয়ে দৈনিক দেশ রূপান্তরের সংবাদদাতা শফিউজ্জামান রানাকে গ্রেপ্তার ও ৬ মাসের কারাদন্ডের ঘটনায় তীব্র নিন্দা-উদ্বেগ জানিয়েছে বিএফইউজে ও ডিইউজে।

            গত শনিবার এক যৌথ বিবৃতিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন-বিএফইউজে সভাপতি রুহুল আমিন গাজী ও মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন-ডিইউজে সভাপতি মো. শহিদুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক খুরশীদ আলম সাংবাদিক রানার নিঃশর্ত মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। তারা বলেন, এ ধরনের নিপীড়ন সাংবাদিকের তথ্য অধিকারই খর্ব নয়, এটি মুক্ত সাংবাদিকতায় অন্তরায়। এভাবে কালাকানুন করে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ এবং সাংবাদিক হত্যা-নির্যাতন, হামলা-মামলা, গ্রেপ্তার অব্যাহত থাকলে গণমাধ্যম তার অস্তিত্ব হারাতে বসবে। বিবৃতিতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, তথ্য অধিকার সংবিধানে উল্লেখিত মৌলিক অধিকার অংশের চিন্তা, বিবেক ও বাক স্বাধীনতার অবিচ্ছেদ্য অংশ। সেজন্য তথ্য অধিকার আমাদের মৌলিক অধিকারও বটে।

            তথ্য অধিকার আইনের একটি শক্তিশালী বিধান হলো, সরকারি কর্তৃপক্ষগুলো সর্বোচ্চ পরিমাণ তথ্য জনসমক্ষে প্রকাশ করবে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে (ভলান্টারি ডিসকোজার); অর্থাৎ নাগরিক বা সাংবাদিকদের চাওয়ার অপেক্ষায় না থেকে সরকারি কর্তৃপক্ষগুলো নিজ নিজ দপ্তরের কাজকর্ম–সম্পর্কিত অধিকাংশ তথ্য নিজ নিজ ওয়েবসাইটে এবং অন্যান্য মাধ্যমে জনসমক্ষে প্রকাশ করবে এবং নাগরিকদের তরফ থেকে যেকোনো তথ্যের চাহিদা মেটানোর জন্য আন্তরিকভাবে প্রস্তুত থাকবে; সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকৃতি জানাবে না; বরং প্রশ্নের উত্তরের পাশাপাশি আনুষঙ্গিক আরও তথ্য-উপাত্ত সরবরাহ করবে। নকলায় সরকারি কর্মকর্তারা সাংবাদিক রানার সাথে যে আচরণ করেছেন সেটি পুরোপুরি আইনের লংঘন। সরকারের নীতিনির্ধারক ও জনপ্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের মধ্যে তথ্য অধিকার আইনের মর্মকথা সম্পর্কে সঠিক উপলব্ধি জাগলে তারা কখনোই তথ্যকে সরকারি সম্পত্তি মনে করতে পারতেন না, বরং স্বীকার করতেন যে তথ্যের মালিক জনগণ; তা গোপন রাখার অধিকার সরকারের কোনো কর্তৃপক্ষের নেই।

            বিবৃতিতে তথ্য অধিকার আইনের কার্যকর বাস্তবায়নে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক পর্যায়ে গোপনীয়তার মানসিকতা থেকে বেরিয়ে স্বচ্ছতার সংস্কৃতিতে উত্তরণের আহ্বান জানান সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ। একই সঙ্গে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা বিরোধী সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ সকল কালাকানুন বাতিলেরও দাবি জানান তারা। সুত্র: দেশ রূপান্তর

Share This

COMMENTS