সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সংবর্ধনা
সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে আজ সকালে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সংবর্ধনা দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সেখানে সকালের নাশতায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে নিজেদের নানা সমস্যার কথা তুলে ধরেছেন নারী ফুটবলাররা। সেসব সমস্যার কথা শুনে প্রধান উপদেষ্টা ফুটবলারদের সমস্যাগুলো লিখিতভাবে জমা দিতে বলেছেন।
ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে নারী ফুটবলারদের আলোচনার বিস্তারিত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, এখন থেকে কমিটির সদস্য নয়, গুরুত্ব পাবেন খেলোয়াড়েরা।
ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেছেন, ‘আমাদের মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা সাফজয়ী নারী ফুটবল দলকে সকালের নাশতায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন। স্যার খুব ধৈর্যসহকারে নারী ফুটবল দলের প্রত্যেকের কথা শুনেছেন। তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা শুনেছেন, সেগুলোর বিষয়ে বিস্তারিত লিখিত দেওয়ার জন্য বলেছেন। নারী ফুটবল দলের খেলোয়াড়েরা প্রত্যেকে সাইন করা জার্সি ও ফুটবল উপহার দিয়েছেন। তাদের সমস্যার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সেগুলো সমাধানের জন্য স্যার ব্যক্তিগতভাবে ব্যবস্থা নেবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।’
ক্রীড়া উপদেষ্টা যোগ করেন, ‘আবাসন সমস্যা, অনুশীলন, স্যালারি, বেতন কাঠামো সবকিছু নিয়ে কথা হয়েছে। খুবই খোলামেলা আলোচনা হয়েছে। এখানে সব বিষয় এসেছে। এই সবগুলো বিষয় আমরা দেখব, সে জন্য উনারদেরকে নির্দিষ্টভাবে দুই-তিন দিনের মধ্যে লিখিত দিতে বলা হয়েছে, সরাসরি সেটা আমি স্যারকে পৌঁছে দেব। নারী ফুটবলাররা জানিয়েছে ওনাদের ক্যাম্প সারা বছর চলার কারণে এমন সাফল্য এসেছে। এটাকে সারা বছর যেন রাখা যায়, সেই আবদার তারা জানিয়েছে। সবগুলো দাবি লিখিত দিলে সহজে চিহ্নিত করতে পারব।’
নারী ফুটবলারদের প্রতি প্রধান উপদেষ্টার বার্তা কী ছিল, এমন প্রশ্নে ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা সবকিছু লিখিত আকারে চেয়েছেন। সবাই ব্যক্তিগতভাবে সেটা দেবেন। তিনি খেলোয়াড়দের উৎসাহিত করেছেন, যেন বিজয়ের এই ধারা অব্যাহত থাকে।’
খেলোয়াড় ও প্রধান কোচ মিলিয়ে প্রধান উপদেষ্টার আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন ২৫ জন। সেখানে সহকারী কোচ ও গোলরক্ষকদের কোচ ছিলেন না। এই প্রসঙ্গে ক্রীড়া উপদেষ্টা বলেছেন, ‘বাফুফের প্রেসিডেন্ট দেশে ছিলেন না। যে কারণে নেই। আমার কাছে যে ২৫ জনের তালিকা এসেছে, আমরা তাদের এখানে আনার ব্যবস্থা করেছি। সহকারী কোচ ও গোলরক্ষক কোচের নাম ছিল না।’