সীমিত আয়ের মানুষের সামর্থ্যের বাইরে নিত্যপন্যের বাজার মূল্য
ষ্টাফ রিপোর্টার\ নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা কমছেই না। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ৩০ টাকা। প্রতি ডজন ডিম কিনতেও গুনতে হচ্ছে ১৬৫ টাকা। গত সপ্তাহের চেয়ে ডজনে দাম বেড়েছে ৫ টাকা। গরিবের আমিষ বলা হলেও সীমিত আয়ের মানুষের সামর্থ্যের বাইরে চলে যাচ্ছে এই পণ্য। শুধু ডিম নয়; ফার্মের মুরগির দামও বাড়ছে নানা অজুহাতে। গত কয়েক সপ্তাহে বিভিন্ন ধরনের সবজির দাম কমে এলেও টানা বৃষ্টির কারণে সেটাও এখন বাড়তির দিকে। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ইলিশের দামও। বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, ডজনপ্রতি মুরগির লাল ও সাদা ডিমের দাম বেড়েছে ৫ টাকা করে। আর ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ১০ টাকা। লেয়ার মুরগির দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। তবে কক মুরগির দাম কমেছে ১৭ টাকা। বিভিন্ন দোকানে মুরগির লাল ডিম ১৬৫ টাকা এবং সাদা ডিম ১৫৫ টাকা দরে ডজন বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া ওজন অনুযায়ী ব্রয়লার মুরগি ১৮৮-১৯০, কক মুরগি ২৩৮-২৪৮, লেয়ার মুরগি ৩০০, দেশি মুরগি ৪৮০-৫৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
এদিকে সবজির বাজার কিছুটা কমলেও তা এখনো নিম্ন আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে। কাঁচা বাজার ঘুরে দেখা যায়, গত সপ্তাহের তুলনায় দেশি গাজর, কালো গোলবেগুন, শসা, উচ্ছে, মুলা, পটোল, কচুরমুখির দাম কমেছে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত। এ ছাড়া বরবটি ও লাউয়ের দাম কমেছে যথাক্রমে ২০ ও ১০ টাকা। ভারতীয় টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৬০, দেশি গাজর ১৩০, চায়না গাজর ১৬০, লম্বা বেগুন ৮০, সাদা গোলবেগুন ৮০, কালো গোলবেগুন ১২০, শসা ৮০, উচ্ছে ৮০, করলা ৭০, কাঁকরোল ৮০, পেঁপে ৩০, মুলা ৭০, ঢেঁড়স ৬০-৭০, পটোল ৬০-৮০, চিচিঙ্গা ৬০, ধুন্দল ৬০, ঝিঙা ৭০, বরবটি ১০০, কচুর লতি ৮০, কচুরমুখি ৮০, মিষ্টিকুমড়া ৫০, কাঁচা মরিচ ২২০-২৪০ ও ধনেপাতা ৪০০ টাকা। মানভেদে প্রতিটি লাউ ও চালকুমড়া ৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি কাঁচকলা ৪০ ও লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। সবজির দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে বিক্রেতা মো. রাজিব বলেন, এ সময়ে সবজির দাম এত বেশি থাকার কথা নয়। কয়েকদিনের বৃষ্টির কারণে সবজির দাম বেড়ে গেছে। বৃষ্টিতে সবজি নষ্ট হয়ে যায়, একদিনেরটা পরের দিন বিক্রি করা যায় না। তাই দাম বেশি যাচ্ছে এখন। তবে বৃষ্টি কমলে দাম আবারও কমে যাবে।
এদিকে আকার ও মানভেদে ক্রস জাতের পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১০-১২০ টাকায়। দেশি পিঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১১৫-১২০ টাকা করে। লাল আলু ৬০, সাদা আলু ৬০, বগুড়ার আলু ৭০, দেশি রসুন ২৪০, চায়না রসুন ২২০, চায়না আদা ২৮০, ভারতীয় আদা ২৮০, মসুর ডাল ১৩৫, মোটা মসুর ডাল ১১০, মুগডাল ১৪০-১৮০, খেসারির ডাল ১০০, বুটের ডাল ১৪০, ছোলা ১২৫, প্যাকেট পোলাও চাল ১৫০, খোলা পোলাও চাল মানভেদে ১১০-১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়াও প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৬৭ টাকা, খোলা সয়াবিন তেল ১৪৭, প্যাকেটজাত চিনি ১৩৫, খোলা চিনি ১৩০, ২ কেজি প্যাকেট ময়দা ১৫০, আটা ২ কেজির প্যাকেট ১১৫, খোলা সরিষার তেল প্রতি লিটার ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব ধরনের মাছের দামই বেড়েছে। বিশেষ করে ইলিশের দাম পাল্লা দিয়ে বাড়ছে। সাইজ অনুযায়ী প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ১৬০০ থেকে ২৪০০ টাকায়। এছাড়া রুই মাছ ৩৪০-৭০০, কাতলা মাছ ৪০০-৬৫০, কালিবাউশ ৪০০-৭০০, চিংড়ি ৯০০-১৬০০, কাঁচকি ৪০০, কই ২০০-৩০০, পাবদা ৪০০-৮০০, শিং ৫০০-১৪০০, টেংরা ৬০০-১০০০, বেলে ৭০০-১২০০, বোয়াল ৭০০-১২০০, কাজলি ৭০০-১৪০০, রূপচাঁদা ৮০০-১৪০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।