শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

সোনাইমুড়িতে নতুন গ্যাস কূপের খনন কাজ শুরু

সোনাইমুড়িতে নতুন গ্যাস কূপের খনন কাজ শুরু

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার অম্বরনগর গ্রামে নতুন গ্যাস কূপের সন্ধান মিলেছে। বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড (বাপেক্স) এ নতুন কূপটির খনন কাজ শুরু করেছে। প্রকল্পটির নাম দেয়া হয়েছে বেগমগঞ্জ-৪ (ওয়েস্ট) মূল্যায়ন কাম উন্নয়ন কূপ খনন প্রকল্প। গত সোমবার সকাল থেকে ২ শতাধিক প্রকৌশলী ও শ্রমিক এ কর্মযজ্ঞে অংশগ্রহণ করেছেন। আগামী ৪ মাস চলবে এ খননের কাজ।

            কূপটির ড্রিলিং ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান বলেন, গত সোমবার দুপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে কূপ খননের জন্য ‘ড্রিলিং রিগ’ স্থাপন করা হয়। প্রাথমিকভাবে কূপটি মাটির নিচে ৩ হাজার ২০০ মিটার খননের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এর ৪টি জোনে প্রাকৃতিক গ্যাস মিলতে পারে বলে আশা করা যাচ্ছে। খনন শেষে প্রতিটি জোনে প্রতিদিন ১০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা যাবে। যা বাখরাবাদ এর মাধ্যমে জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত করা হবে।

            জানা যায়, দেশের অর্থনীতি ও শিল্পায়নকে আরো গতিশীল করতে আমাদের বাড়তি গ্যাস প্রয়োজন। এ প্রতিপাদ্যে মানুষের চাহিদা পূরণে দেশীয় জ্বালানি অনুসন্ধান ও উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে ৪৬টি নতুন অনুসন্ধান, উন্নয়ন ও ওয়ার্ক ওভার কূপ খনন করার ল্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

            বাপেক্স বলছে, এর আগে নোয়াখালীর এ অঞ্চল তথা বেগমগঞ্জে ১৯৭৬ সালে প্রথম কূপের সন্ধান মিলে। ১৯৭৮ সালে দ্বিতীয় কূপের সন্ধান মিললে সেগুলো ড্রিলিং করা হয়। তবে পরবর্তীতে ওই দু’টি কূপে কোন গ্যাস পাওয়া যায়নি। ২০১৩ সালে তৃতীয় কূপের সন্ধান মিললে ড্রিলিং শেষে ওই কূপ থেকে গ্যাস প্রোডাকশনে যায় এবং ২০১৮ সালে একই কূপে ওয়ার্ক ওভার করে। এখন প্রতিদিন ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হচ্ছে।

            উল্লেখ্য, রিগ (খনন যন্ত্র) ভারী যন্ত্রাংশের সমন্বয়ে গঠিত। এটির খন্ড খন্ড অংশ যানবাহনে করে কূপ খননের এলাকায় নিয়ে আসা হয়। এরপর এটি ক্রেন দিয়ে তুলে জোড়া লাগানো হয়। ‘রিগ মাস্ট’ অর্থ হচ্ছে রিগের সবচেয়ে ওপরের ভারী অংশ। এটি শোয়ানো অবস্থায় এনে পরে যেখানে কূপ খনন করা হবে, সেখানে সোজা করে দাঁড় করানো হয়।

Share This

COMMENTS