রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

স্কুলের ছাত্রীদের গালাগালি করে টিকটক!  বখাটে টিকটকার আতিক ডনসহ আটক ২

স্কুলের ছাত্রীদের গালাগালি করে টিকটক! বখাটে টিকটকার আতিক ডনসহ আটক ২

Views

            ষ্টাফ রিপোর্টার\ কুমিল্লায় স্কুল ছাত্রীদের গালাগালিসহ টিকটক ভিডিও তৈরি করে নেট দুনিয়ায় ভাইরাল করা টিকটকার আতিক ডন ও হৃদয় নামে ২ বখাটেকে আটক করেছে পুলিশ। গত রোববার (২০ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি বিশেষ টিম অভিযান চালিয়ে গোমতা ও ভিকতলা এলাকা থেকে তাদেরকে আটক করে।

আটককৃতরা হলেন- মুরাদনগর উপজেলার বাবুটিপাড়া ইউনিয়নের গোমতা গ্রামের প্রবাসী রবিউলের ছেলে আতিকুর রহমান (১৮), সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ‘আতিক ডন’ নামে পরিচিত। অপরজন হলেন দাউদকান্দি উপজেলার ইলিয়টগঞ্জ দক্ষিণ ইউনিয়নের ভিকতলা গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে হৃদয় (১৮)।

পুলিশ জানায়, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক সংলগ্ন চান্দিনা ও মুরাদনগর উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকা গোমতা ইসহাকিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে ছাত্রীদের অশ্লীল ভাষায় গালাগালিসহ ভিডিও ধারণ করে আতিক ডন ও তার টিম। গত বুধবার (১৬ আগস্ট) বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়েছে। ‘বুঝো নাই ব্যাপারটা’ নামে একটি ফেইজবুক পেইজ থেকে আতিক নামের এক বখাটে ১৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিওটি পোস্ট করার পর ছড়িয়ে পড়ে ফেসবুক দুনিয়ায়।

পরবর্তীতে ওই ভিডিও ডাউনলোড করে ওই বখাটে আতিকসহ তাদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে ফেইসবুকে পোস্ট করেন নেটিজেনরা।

গত বৃহস্পতিবার (১৭ আগস্ট) কর্মরত সাংবাদিকরা ওই ঘটনায় সংবাদ প্রকাশ করার পর বিষয়টি নজরে আসে প্রশাসনের। জেলা প্রশাসকও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।

কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা শাখার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রাজেশ বড়–য়া জানান, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে গত ২ দিন চেষ্টার পর রোববার বিকেলে তাদেরকে আটক করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এ সময় চান্দিনা থানা পুলিশও সহযোগিতা করেন। যেহেতু ঘটনাটি মুরাদনগর থানাধীন সেহেতু অভিযুক্তদের মুরাদনগর থানায় হস্তান্তর করে আমাদের টিম।

মুরাদনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আজিজুল বারী জানান, জেলা ডিবি পুলিশের মাধ্যমে তাদেরকে আটক করা হয়েছে। তাদের ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। সিনিয়র অফিসারদের সাথে আলোচনা করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে, ওই বখাটেদের আটকের পর এলাকাবাসী স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন। স্কুলের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।

Share This