বৃহস্পতিবার, ২১শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

লাগামহীন নিত্যপণ্যের দামে মানুষের নাভিশ্বাস

লাগামহীন নিত্যপণ্যের দামে মানুষের নাভিশ্বাস
১৮ Views

            ষ্টাফ রিপোর্টার\ শাকসবজি, মাছ-মাংস এবং চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন ও আদাসহ বেশিরভাগ নিত্যপণ্যের লাগামহীন দামে অস্থির নিত্যপন্যের বাজার। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে এসব পণ্যের দাম। বিশেষ করে বাজারে সবজির দামের এই ঊর্ধ্বগতিতে ক্রেতারা বেশ বিপাকে পড়েছেন। লাফিয়ে লাফিয়ে দাম বাড়ায় মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের মানুষের জন্য বাজার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। কয়েকদিন আগেও যে সবজি ৫০ টাকায় কেনা যেত, এখন তার দাম বেড়ে ৮০-১০০ টাকায় ঠেকেছে।

            গরম ও বৃষ্টির কারণে সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে এমন দাবি সবজি বিক্রেতাদের। আর মাছ ব্যবসায়ীরা বলছে, বর্ষায় প্লাবনভূমি ও ঘেরে অতিরিক্ত হাতে পানি বাড়ায় স্বাভাবিকে তুলনায় মাছ ধরা পড়ছে কম। তাই চাহিদার তুলনায় বাজারে মাছের সরবরাহ কমের কারণে মাছের দাম চড়া।

            সরবরাহ ও আমদানি স্থিতিশীলতার মধ্যেও রাতারাতি পেঁয়াজ, আদাসহ নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় হতাশ নিম্ন-মধ্যমআয়ের মানুষ। খুচরা ও পাইকারী ব্যবসায়ীদের দাবি চলমান বর্ষায় টানা বৃষ্টিপাতের কারণে বাজারে পেয়াজ, রসুন, আদা ও মসুর ডালের চাহিদার অনুপাতে সরবরাহ কম থাকায় সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে পণ্যের দাম বাড়ছে।

            আর ভোক্তারা বলছেন দাম বাড়ার ক্ষেত্রে সরবরাহের দোহাই ব্যবসায়ীদের অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। মূলত এরা বাজারে কৃক্রিম সংকট তৈরি করে পণ্যের দাম বাড়াচ্ছে। কারণ প্রশাসন নিয়মিত বাজার মনিটরিংয়ে নেই। প্রশাসনের গাফিলতির কারণে নিত্যপণ্যের সংকট দেখিয়ে বাজার অস্থির করে তুলছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। বাজার নিয়ন্ত্রণে দ্রæত কর্যকর পদক্ষেপ নিবে প্রশাসন প্রত্যাশা তাদের।

            বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে অধিকাংশ সবজির দাম ৮০ টাকার ওপরে। সাম্প্রতিক সময়ে সবচেয়ে বেশি বেড়েছে বেগুনের দাম। বাজারে ১০০ টাকার নিচে কোনো বেগুন নেই, সর্বোচ্চ দাম ১৫০ টাকা। তিন সপ্তাহ আগেও ৬০ থেকে ১২০ টাকার মধ্যে এক কেজি বেগুন কেনা যেত। অন্যান্য সবজির মধ্যে প্রতি কেজি করলা, বরবটি, কাঁকরোলের দাম ১০০ থেকে ১২০ টাকা; আমদানি করা টমেটোর কেজি ১৬০-১৮০ টাকা; আর পটোল, ঢ্যাঁড়স, ঝিঙার কেজি ৮০ থেকে ১০০ টাকা। কেজিতে ৬০ থেকে ৮০ টাকা দামে কেনা যায় চিচিঙা, ধুন্দুল, কচুমুখি প্রভৃতি সবজি। আর ৫০ টাকার নিচে রয়েছে শুধু মিষ্টিকুমড়া, পেঁপে, কাঁচকলাসহ হাতে গোনা কয়েকটি সবজির দাম। এ ছাড়া প্রতিপিস লাউ ৭০-৮০ টাকা ও চালকুমড়া ৫০-৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া প্রতিকেজি কাঁচা মরিচের দাম এখন ১৮০-২০০ টাকা।

            অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে মোটা ও চিকন সব ধরনের চাল বিক্রি হচ্ছে ২-৩ টাকা বেশিতে। মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৫৫-৬০ টাকা এবং চিকন চাল বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকা দরে। বাজারে ১৫-২৫ টাকা বেড়ে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭৫-৮৫ টাকা দরে। অন্যদিকে সপ্তাহের ব্যবধানে ৮০-১০০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি দেশি আদা ২০০ এবং আমদানিকৃত আদা ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। পিছিয়ে নেই রসুনের বাজার। কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়ে দেশি রসুন ১১০ এবং আমদানিকৃত রসুন ১৬০ টাকা। দাম বেড়েছে মসুর ডালেরও। ১০ টাকা বেড়ে সপ্তাহের ব্যবধানে ১১৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

Share This