বুড়িচংয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ বালাইনাশক বিক্রির দায়ে ৩ প্রতিষ্ঠানকে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলায় মেয়াদোত্তীর্ণ বালাইনাশক ও বীজ বিক্রির অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ৩টি দোকানকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সোনিয়া হকের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালিত হয়।

            অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন কীটনাশক ও বীজের দোকান তল্লাশি করে বেশ কয়েকটি দোকানে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ বালাইনাশক ও বীজ মজুত পাওয়া যায়। এর মধ্যে মেসার্স ইমন এন্টারপ্রাইজ থেকে ৩টি আইটেমের ৩৯টি মেয়াদোত্তীর্ণ বালাইনাশক জব্দ করে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। চাষী বীজ ভান্ডার থেকে ৪টি আইটেমের ১৫টি মেয়াদোত্তীর্ণ বালাইনাশক জব্দ করে ২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সৈয়দ আলী এগ্রো শপ থেকে ৪টি আইটেমের ৯টি মেয়াদোত্তীর্ণ বালাইনাশক ও কিছু বীজ জব্দ করে ৪ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

            উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা মো. আতিকুর রহমান জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ বালাইনাশক শুধু কৃষির জন্যই নয়; পরিবেশ ও মানুষের স্বাস্থ্যের জন্যও মারাত্মক ক্ষতিকর। এগুলো ব্যবহারের ফলে কৃষি উৎপাদন হ্রাস পায় এবং মাটির উর্বরতা নষ্ট হয়। তিনি বলেন, “আমরা নিয়মিত এসব দোকান তদারকি করি এবং মেয়াদোত্তীর্ণ পণ্য পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করি।”

            ভ্রাম্যমাণ আদালতের নেতৃত্বদানকারী সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট সোনিয়া হক বলেন, দোকানে মেয়াদোত্তীর্ণ বালাইনাশক ও বীজ রাখার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯-এর ৫১ ধারায় ৩টি দোকানকে জরিমানা করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, কৃষি ও জনস্বার্থ রক্ষায় এই ধরনের অভিযান নিয়মিত অব্যাহত থাকবে।

            স্থানীয় কৃষক ও সাধারণ মানুষ এ ধরনের অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তারা জানান, মেয়াদোত্তীর্ণ বালাইনাশক বিক্রি রোধ করা গেলে কৃষি উৎপাদন সুরক্ষিত হবে এবং কৃষকের আর্থিক ক্ষতিও কমবে।