শুক্রবার, ২৯শে আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

চান্দিনায় ২টি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ

চান্দিনায় ২টি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে  যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ
২৪ Views

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার চান্দিনায় দু’টি বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। ওই দুই প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও মহাসড়ক অবরোধ করেছে শিক্ষার্থীরা। পরে তারা উপজেলা ও থানা কমপ্লেক্সে বিক্ষোভ করে। ডা. ফিরোজা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাদিকুল ইসলাম কিরণের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। একই সময়ে মহিচাইল জোবেদা মমতাজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিবের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।

            ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের চান্দিনা উপজেলা গেট এলাকায় অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা। এতে মহাসড়কের দু’পাশে প্রায় ৪ কিলোমিটার জুড়ে যানজট সৃষ্টি হয়। বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীদের নিয়ন্ত্রণ করতে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল হক, চান্দিনা ও দাউদকান্দি সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) তানভীর ফয়সাল, চান্দিনা থানার অফিসার ইনচার্জ জাবেদ উল ইসলামসহ চান্দিনা থানা পুলিশ।

            ডা. ফিরোজা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের ৮ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী জানান, প্রধান শিক্ষক আমাদের বাবার বয়সী। তিনি বিভিন্ন সময় আমাদের অশোভনীয় কথা বলেন। যা মুখে প্রকাশ করা যায় না। এমন শিক্ষকের আমরা অপসারণ চাই। অভিযোগ অস্বীকার করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাদিকুল ইসলাম কিরণ জানান, এসব কয়েকজন সহকারী শিক্ষকসহ কতিপয় বহিরাগতদের শিখানো। আমার বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষক নিয়মিত প্রাইভেট পড়ান ও শ্রেণিকক্ষে যথাসময়ে উপস্থিত থাকেন না। তারাই উস্কে দিয়ে আমাকে হেনস্তা করতে শিক্ষার্থীদের রাস্তায় নামিয়েছে।

            অপরদিকে, মহিচাইল জোবেদা মমতাজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আহসান হাবীবের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। একাধিক শিক্ষার্থী জানান, প্রধান শিক্ষক আহসান হাবিব ৯ম ও ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের শরীরে হাত দেয়াসহ বিভিন্ন কুপ্রস্তাব দেন। এমনকি ২ জন শিক্ষার্থীকে দরজা আটকে যৌন হয়রানির চেষ্টা করেন। যে সমস্ত শিক্ষার্থীদের পিতা বিদেশ থাকেন তাদের মায়েদের বিদ্যালয়ে এনে নানা অজুুহাতে মোবাইল ফোনে কল করে কুপ্রস্তাব দেয়ারও অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া বিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

            তবে প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ আহসান হাবীব বলেন, আমার বিদ্যালয়ে গত বছরের এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল খারাপ হয়। এ জন্য আমি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের প্রচুর চাপ সৃষ্টি করি। এ কারণে শিক্ষার্থীরা আমার বিরুদ্ধে এমন অপপ্রচার করছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আশরাফুল হক বলেন, চান্দিনা ডা. ফিরোজা পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষার্থীদের অভিযোগ পেয়েছি। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। অপরদিকে, মহিচাইল জোবেদা মমতাজ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ঘটনাটিও জেনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

Share This