শাহপুর-মড়হ-মনোহরগঞ্জ আঞ্চলিক সংযোগ সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে যাতায়াতে সীমাহীন ভোগান্তি


আবুল কালাম আজাদ\ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার শাহপুর-মড়হ-মনোহরগঞ্জ সংযোগ সড়কের বিভিন্ন অংশ ভেঙ্গে পড়েছে। অবহেলা আর সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের একেবারেই অযোগ্য হয়ে পড়েছে সড়কটি। এতে স্থানীয় বাসিন্দা, ব্যবসায়ী, শিক্ষার্থীসহ হাজারো মানুষ পড়েছে মহাবিপাকে। সবচেয়ে নাজুক অবস্থায় রয়েছে শাহপুর থেকে মড়হ পর্যন্ত ২ কিলোমিটার সড়ক।
এই সড়কটি মনোহরগঞ্জ উপজেলার পুরাতন সড়ক; যার পাশে রয়েছে শাহপুর ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসা। এ সড়ক নাথেরপেটুয়া-হাসনাবাদ আঞ্চলিক সড়কের সঙ্গে সংযুক্ত। এ সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ছোট-বড় অসংখ্য যানবাহন চলাচল করে। সড়কের বিভিন্ন অংশে ভেঙ্গে পড়েছে এবং বিশাল গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করতে হয়। সড়কটির অসংখ্য খানাখন্দে ভরে থাকায় প্রতিদিনই ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা।
সড়কটি দিয়ে বড় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকলেও ছোট যানবাহন চলাচলেও রয়েছে বিরাট সমস্যা। বিশেষ করে রিকশা, ভ্যান কিংবা অটোরিকশার মতো তিন-চাকার যান ব্যবহার কষ্টসাধ্য। সড়কের কারণে বাড়তি ভাড়া আর পণ্য নষ্ট হওয়ায় বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বড় বড় ভাঙ্গা ও খানা-খন্দ দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে যানবাহন চলাচল করছে। টমটমচালক সিরাজ মিয়া জানান, এ রাস্তা দিয়েই তাদের চলতে হয়। ২ বছর ধরে সড়ক ভেঙে অবস্থা খারাপ। সরকারের কাছে আমাদের দাবি যেন সড়কগুলো মেরামত করে দেয়া হয়।
লক্ষণপুর ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার শিক্ষক মড়হ গ্রামের বাসিন্দা শাহজালাল ভূঁইয়া জানান, এ সড়কটি একটি জনগুরুত্বপূর্ণ পুরাতন সড়ক। সড়ক পথে যোগাযোগের জন্য এটা আমাদের একমাত্র সড়ক। গত কয়েক বছর ধরে সড়কটি অবহেলার শিকার। সরু সড়কের কোনো প্রশস্ততা নেই। নেই কোনো সংস্কার। এটি প্রশস্ত করে নতুনভাবে তৈরি হলে এই এলাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও উন্নত হতো।
সড়কটির পাশে অবস্থিত শাহপুর ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসা ৮ শতাধিক শিক্ষার্থী অধ্যায়ন করছে। মাদরাসাটির দক্ষিণ পাশে বিশাল ভাঙ্গা ও গর্তের কারণে গাড়ি চলাচল কমে গেছে। বৃষ্টি হলে তো কথাই নেই। ভোগান্তি আরো বাড়ে। শাহপুর ইসলামিয়া ফাযিল মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্ট করে প্রতিষ্ঠানে আসছে। এ সড়ক দ্রæত সংস্কার করা উচিত। সড়কটির কতেক স্থানে বিশালাকার গর্ত দেখে মনে হয় পুকুর। গাড়ি উল্টে আমাদের শিক্ষার্থীসহ অনেকেই ইতিমধ্যে আহত হয়েছেন।’
মনোহরগঞ্জ উপজেলা (এলজিইডি) প্রকৌশলী শাহ আলম জানান, সড়কটির অনেক নাজুক অবস্থা, আমি কয়েকবার পরিদর্শনে গিয়েছি। বৃষ্টি এবং পানি কমলে মেরামত করে আমরা চলাচলের উপযোগী করে দিবো। এছাড়াও সড়কটি নতুনভাবে করতে আমরা অর্থ বরাদ্দ চেয়ে প্রকল্প পাঠিয়েছি।