সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত চৌদ্দগ্রামের ৫ নারীর দাফন সম্পন্ন


আবদুল মান্নান\ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ নারীর। গত বৃহস্পতিবার (৬ই নভেম্বর) সকাল ১০টায় চৌদ্দগ্রামে পৃথক দু’টি জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়। তাদের জানাজায় হাজার হাজার মানুষ অংশ নেন। সকাল ১০টায় চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার চাঁন্দিশকরা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ মাঠে ৩ জনের ও ফালগুনকরা সরকারি মডেল প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে অপর ২ জনের জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।
এ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- চাঁন্দিশকরা গ্রামের বাসিন্দা উদয় পাটোয়ারীর স্ত্রী ফারজানা মজুমদার লিজা (২৮), মা রুমি বেগম (৬৫), বোন সাদিয়া হক পাটোয়ারী (২৪), শাশুড়ি রিজওয়ানা মজুমদার শিল্পী (৫৫) ও শ্যালিকা ফারহানা মজুমদার টিজা (২৫)। এদিকে দুর্ঘটনার পর ৫ নারী নিহতের খবরে চাঁন্দিশকরা ও ফালগুনকরা পুরো গ্রামের মানুষ শোকে স্তব্ধ হয়ে পড়ে।
এর আগে গত ৪ঠা নভেম্বর রাতে ঢাকার উত্তরার বাসা থেকে ভাড়া করা মাইক্রোবাসে কক্সবাজারের উদ্দেশে স্বপরিবারে রওয়ানা দেয় উদয় পাটোয়ারী। এ সময় তার স্ত্রী ফারজানা মজুমদার লিজা, ছেলে সামাদ পাটোয়ারী, শ্যালিকা ফারহানা মজুমদার টিজা ও শ্যালক শাহেদ মজুমদার লিশান তার সাথে ছিলেন। রাত আড়াইটার দিকে চৌদ্দগ্রাম থেকে মা রুমি বেগম, বোন সাদিয়া হক পাটোয়ারী এবং শাশুড়ি রিজওয়ানা মজুমদার শিল্পীকে গাড়িতে তোলা হয়।
বুধবার ভোরে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা মাইক্রোবাসটি চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চকরিয়ার ফাঁসিয়াখালীর ঢালা এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিকে থেকে আসা বেপরোয়া গতির মার্সা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের মুখোমুখী সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই গাড়ীতে থাকা ৫ নারী মারা যান।
এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন উদয় পাটোয়ারী, তার ছেলে সামাদ, শ্যালক লিশান সহ মাইক্রোচালক। সংবাদ পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা নিহতদের লাশ উদ্ধার করেন এবং আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। আহতদের মধ্যে উদয় পাটোয়ারীর শ্যালক শাহেদ মজুমদার লিশানের অবস্থা এখনো আশঙ্কাজনক।
আইনী প্রক্রিয়া শেষে নিহতদের লাশ বাড়ীতে আনা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে পৃথক জানাযা শেষে তাদের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
