শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

নাঙ্গলকোটে চাচির সঙ্গে পরকীয়াঃ অতপর বিয়ে

নাঙ্গলকোটে চাচির সঙ্গে পরকীয়াঃ অতপর বিয়ে

            নিজস্ব প্রতিনিধি॥ কুমিল্লার নাঙ্গলকোট পৌরসভার দক্ষিণ জোড়পুকুরিয়া গ্রামে চাচির সঙ্গে পরকীয়া করে বিয়ে করেন দেবর পুত্র। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে।

            গত বৃহস্পতিবার ভোররাতে চাচির সঙ্গে বাহরাইন প্রবাসী ভাতিজা নয়নের ৭ লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে হয় বলে জানা গেছে। পরকীয়া প্রেমিক নয়ন দক্ষিণ জোড়পুকুরিয়া গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে। চাচির ১০ বছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।

            স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নাঙ্গলকোট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের দক্ষিণ জোড়পুকুরিয়া গ্রামের আনু মিয়ার ছেলে প্রবাসী আবদুল আজিজ ২০১২ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে করেন একই উপজেলার পেরিয়া এলাকার গাজী মাইনুদ্দিনের মেয়ে হোসনা আক্তার স্বপ্নাকে। আজিজ ও স্বপ্না দম্পতির সুখের সংসারে আসে এক কন্যাসন্তান। এরপর আবদুল আজিজ প্রবাসে চলে গেলে তার ছোট ভাই মফিজুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ নয়ন তার স্ত্রীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।

            এ ঘটনায় ২০২১ সালে স্বপ্না ও আজিজ দম্পতির সংসার ভেঙে যায়। সংসার ভাঙার সালিশে স্ত্রীকে দেয়া স্বর্ণালংকার ছাড়াও নগদ ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা দিতে হয়। প্রথম স্বামী আবদুল আজিজের সঙ্গে তালাকের কয়েক দিন পর নাঙ্গলকোট পৌরসভা নিকাহ রেজিস্ট্রারের কার্যালয়ে সাক্ষীদের উপস্থিতিতে মোবাইল ফোনে স্বপ্নাকে বিয়ে করেন প্রবাসী ভাতিজা নয়ন। বিয়ের বিষয়টি দীর্ঘদিন গোপন থাকার পর গত সপ্তাহে নয়ন বাহরাইন থেকে দেশে আসলে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে প্রেমিকা স্বপ্নার সঙ্গে দেখা করতে তাদের বাড়িতে যান। পরে স্বপ্না পেরিয়া ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রারের সহকারী মোহাম্মদকে ডেকে নিয়ে ভোররাতে দেবরপুত্র নয়নকে দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন।

স্বপ্নার প্রথম স্বামী আবদুল আজিজ বলেন, আমার স্ত্রী স্বপ্না আমার ছোট ভাইয়ের ছেলের সঙ্গে পরকীয়া করে আমার ১০ লাখ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে চলে যায়। পরে আবার পেরিয়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আবদুল হামিদের বাড়িতে বৈঠক বসে আমি আরও আড়াই লাখ কাবিনের টাকা পরিশোধ করি।

            পরকীয়া প্রেমিক নয়ন বলেন, এসব মিথ্যা কথা। পরকীয়া প্রেমিকা হোসনা আক্তার স্বপ্না বলেন, আমার আগের স্বামীর সঙ্গে আমার প্রায় ৩ বছর পূর্বে তালাক হয়ে গেছে। ওই বাড়ির কোনো ছেলে আমাকে পছন্দ করে বিয়ে করলে এখানে আমার কী দোষ।

            পেরিয়া ইউনিয়ন নিকাহ রেজিস্ট্রার তাজুল ইসলাম বলেন, কনে, তার মা ও এলাকার লোকদের অনুরোধে সেখানে গিয়ে তাদের বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হয়েছে।

Share This