শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

লাকসামে বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম  ২০৪১ ভিশন বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদেরকে  সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়তে হবে

লাকসামে বিভিন্ন প্রকল্প উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম ২০৪১ ভিশন বাস্তবায়নে শিক্ষার্থীদেরকে সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়তে হবে

            ষ্টাফ রিপোর্টার\ স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, ‘আজকের শিক্ষার্থীরাই গড়বে আগামী দিনের উন্নত বাংলাদেশ। জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ২০৪১ ভিশনকে বাস্তবায়ন করতে শিক্ষার্থীদেরকে সুযোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠতে হবে। শুধু লেখাপড়া করলে হবে না; শিক্ষার্থীদেরকে আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। ৩০ লাখ মা-বোনের রক্তের বিনিময়ে আমরা বাংলাদেশ পেয়েছি। দেশের স্বাধীনতা অর্জনে যারা ভূমিকা রেখেছেন তাদের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। জাতির জনককে কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করতে হবে, দেশকে ভালোবাসতে হবে। যারা দেশকে ভালোবাসে না, তারা সৌভাগ্যবান মানুষ হতে পারে না।

            গত সোমবার (৬ই নভেম্বর) সকালে কুমিল্লার লাকসাম নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজের নবনির্মিত ৬ তলা বিশিষ্ট দু’টি ভবন, দু’টি ছাত্রাবাস ও শিক্ষকদের জন্য একটি ভবন এবং  লাকসাম উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ১৫টি নবনির্মিত ভবন এবং ৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভিত্তি প্রস্তর শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

            লাকসাম-মনোহরগঞ্জে বাস্তবায়িত বিভিন্ন প্রকল্পের বিবরণ তুলে ধরে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, লাকসাম-মনোহরগঞ্জকে এক সময় জলাঞ্চল হিসেবে অবহেলার চোখে দেখা হতো। এখন সবখানে পাকা সড়ক হয়েছে। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে। স্কুল-কলেজসহ বিভিন্ন অবকাঠামো তৈরির ফলে উপজেলাগুলো আজ শহরাঞ্চলে পরিণত হয়েছে। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে।

            শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ আয়োজনে এবং নওয়াব ফয়জুন্নেছা সরকারি কলেজ অধ্যক্ষ মেজর মিতা সফিনাজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন, সাংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব খলিল আহমদ, বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর মহাপরিচালক মোঃ কামরুজ্জামান, শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী দেলোয়ার হোসেন মজুমদার, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান, পুলিশ সুপার মোঃ আবদুল মান্নান বিপিএম (বার), ওয়াকফ প্রশাসক মো. গিয়াস উদ্দিন, লাকসাম উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট ইউনুছ ভুঁইয়া।

অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রী জাতীয় জাদুঘরের শাখা হিসেবে ‘নবাব ফয়জুন্নেছা জমিদার বাড়ি জাদুঘর’ এর শুভ উদ্বোধন করেন। নওয়াব ফয়জুন্নেছা জাদুঘর বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, লাকসামের এই নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী ছিলেন উপমহাদেশের প্রথম নারী নওয়াব। নারী শিক্ষার অগ্রদূত হিসেবে বেগম রোকেয়ার জন্মের ৭ বছর আগেই তিনি নারীদের জন্য স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তৎকালীন সময়ে নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী চারটি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। ওই সময় তিনি রূপজালাল নামে একটি গ্রন্থ রচনা করেন। ধার্মিক ও দানশীল হিসেবে নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী ছিলেন বিশ্বের কাছে পরিচিত মুখ। তাঁর জমিদারি আমলে তিনি স্কুল, মাদরাসা, পুল কালভার্ট, হাসপাতাল, এতিমখানা, মক্কায় মুসাফিরখানাসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। তাঁর রেখে যাওয়া জমিদার বাড়িটি আজ জাদুঘরে রূপান্তরিত হয়েছে। দেশের অন্যান্য দর্শনীয় স্থানের মতো নওয়াব ফয়জুন্নেছা চৌধুরানী জাদুঘরটিও মানুষ দেখতে আসবে। এখান থেকে আগামী প্রজন্ম অনেক কিছু শিখতে পারবে।

            এসময় উপস্থিত ছিলেন, লাকসাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবদুল হাই সিদ্দিকী, মনোহরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, লাকসাম উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মহব্বত আলী, পৌর মেয়র অধ্যাপক আবুল খায়ের, কাউন্সিলার আবু সায়েদ বাচ্চু, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন শামীম, ওমর ফারুক প্রমুখ।

Share This