শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

লালমাইয়ে স্ত্রীর অধিকার আদায়ে নারীর অনশন

লালমাইয়ে স্ত্রীর অধিকার আদায়ে নারীর অনশন

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার লালমাই উপজেলার যশপুরে স্ত্রীর অধিকার আদায়ের দাবিতে অনশনে বসেছেন মৌ খান নামের এক নারী। তিনি নিজেকে যশপুর গ্রামের সফিকুর রহমানের ছেলে সাইফুল ইসলাম শামীমের স্ত্রী বলে দাবি করেছেন। গত শনিবার দুপুর থেকে তিনি ওই বাড়িতে অবস্থান করছেন। ওইদিন বিকালে ওই বাড়িতে সরজমিন গিয়ে দেখা যায়, অনশনকারী নারী মৌ খান তার শ্বশুর-শাশুড়ির পায়ে ধরে কান্নাকাটি করছেন। গোপনে বিয়ে করার জন্য ক্ষমা চাচ্ছেন। স্ত্রীর অধিকার চাচ্ছেন। তবে বারবার পায়ে ধরেও তিনি শ্বশুর-শাশুড়ির মন গলাতে পারেননি।

            খবর পেয়ে স্থানীয় সংবাদকর্মীরা ঘটনাস্থলে গেলে মৌ খান নিজের বিয়ের প্রমাণ হিসেবে নিকাহনামার একটি ছায়াকপি দেখান। নিকাহনামার তথ্য অনুযায়ী মৌ খান মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার সাংগরপাড়া গ্রামের আবদুল লতিফের মেয়ে। গত ৩০শে এপ্রিল ঢাকার সূত্রাপুর এলাকার একটি কাজী অফিসে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের কাবিন অনুযায়ী কনে মৌ খান বর সাইফুল ইসলাম শামীমের চেয়ে ৮ বছরের বড়। অনশনকারী মৌ খান গণমাধ্যমে বলেন, আমি পুরান ঢাকার গেন্ডারিয়াতে পার্লারের ব্যবসা করি। ২য় তলায় পার্লার আর ৩য় তলায় আমার বাসা। ফেসবুকে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রায় ৬ বছর ধরে শামীমের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। গত ৭ মাস আগে আমরা কাজী অফিসে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হই। বিয়ের পর শামীম আমার বাসায় থাকতো। কিছুদিন ধরে সে বাসায় যাচ্ছে না। তাই তার বাড়িতে এসেছি। তবে আমি আসার খবর পেয়ে শামীম বাড়ি থেকে পালিয়েছে। শামীমের মা খুরশিদা বেগম বলেন, এই নারী আমার ছেলেকে মামলা দিয়ে জেল খাটিয়েছে। সে আমার ছেলের দ্বিগুণ বয়সী। আজকে বাড়িতে এভাবে এসে আমাদের মানসম্মান নষ্ট করেছে। শামীমের বাবা সফিকুর রহমান বলেন, আমি ছেলেকে বাড়ি থেকে বের করে দিয়েছি। এমন ছেলের আমার দরকার নেই। ছেলে যেখানে নেই সেখানে ছেলের বৌ থাকার সুযোগ নেই। এই নারী আমার ছেলের নামে মামলা দিয়ে ২০ লাখ টাকার ক্ষতি করেছিল। এখন আবার বাড়িতে আসছে।

            স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও যশপুর গ্রামের বাসিন্দা হাবিবুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, আমি এলাকায় নেই। তবে শুনেছি একজন নারী দুপুর থেকে শামীমের বাড়িতে অনশন করছে। এ বিষয়ে লালমাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন, সারাদিন বিজয় দিবসের অনুষ্ঠানে ছিলাম। এখন অফিসে এসেছি। বিষয়টি শুনিনি। এখন খবর নিয়ে দেখবো।

Share This