৬০ Views
আগামী মঙ্গলবার ৩০শে জানুয়ারি দেশের সব মহানগর, জেলা, উপজেলা, থানা ও পৌরসভায় কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি পালন করবে বিএনপি। ‘অবৈধ ডামি সংসদ বাতিল ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের’ দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করবে দলটি।
শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচি পালন করে বিএনপি। এরপর দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। দলের নেতা কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘তৃপ্তি নিয়ে ঘরে ফিরলে হবে না আমাদের রাজপথে কর্মসূচি পালন করে যেতে হবে।’
দলীয় কার্যালয়ের সামনে কালো পতাকা মিছিলের আগে অনুষ্ঠিত সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বিএনপি নেতা গয়েশ্বর বলেন, ‘এই সরকার জনগণের সরকার নয়। এই সরকার চীন, ভারত, রাশিয়ার সরকার।’ তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বিদেশিদের সার্টিফিকেট জোগাড় করেছেন। দেশের মানুষ যদি সার্টিফিকেট না দেয়, বিদেশি সার্টিফিকেট দিয়ে আপনাকে বৈধ সরকার প্রমাণ করার কোনো সুযোগ নাই।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদে আজ দেশের মহানগরগুলোতে কালো পতাকা মিছিল কর্মসূচিতে অংশ নিতে দুপুর সাড়ে ১২টা থেকেই ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে নেতা কর্মী এসে অংশ নেন। সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কালো পতাকা মিছিল শুরু হয়। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির প্রতিবাদের দাবির সঙ্গে আগের দাবিগুলোও উল্লেখ করেছে বিএনপি।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে গয়েশ্বর বলেন, ‘আজকে কেবল আমাদের ভোটের লড়াই নয়, ভাতের লড়াই আছে, আছে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার লড়াই।’
দলের আরেক স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান বলেন, জনপ্রতিনিধিত্বহীন সরকারের বিদায়ঘণ্টা বাজাতে রাজপথে এসেছি। এই সরকার কালো পতাকার কালো আঁধারে নিশ্চিহ্ন হয়ে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে বিদায় নিতে বাধ্য হবে। ৭ জানুয়ারি সরকারের নৈতিক পরাজয় হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত সমাবেশে দলের আরেক ভাইস চেয়ারম্যান এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, আমি আর ডামির ভোট ৭ জানুয়ারি। ৯০ ভাগ মানুষ ভোট প্রত্যাখ্যান করেছে। সংবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে তাঁরা দেশ শাসন করে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, দেশে লুটপাট করে একটা সরকার টিকে থাকতে পারে না। তাদের পতন না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে জানিয়েছেন।