বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চোরচক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার
ষ্টাফ রিপোর্টার\ ওরা ৩৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ দল। বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মার চুরি করাই তাদের কাজ। কয়েকটি গ্রæপে বিভক্ত হয়ে গত কয়েক মাসে কুমিল্লাসহ আশপাশের জেলা থেকে ৩ শতাধিক বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি করেছে তারা। এরমধ্যে ১৩টি অভিযোগ পায় কুমিল্লা জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ। আর এই অভিযোগের সূত্র ধরে সংঘবদ্ধ চোর চক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেফতার করে কুমিল্লা ডিবি পুলিশ। উদ্ধার করা হয় বিপুল পরিমান বৈদ্যুতিক ট্রান্সফারমারের যন্ত্রাংশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন- কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর উপজেলার কাজিয়াতল এলাকার মো. মনির হোসেন, চান্দিনা উপজেলার আইলকামারা গ্রামের মো. সোহেল, কুমিল্লা নগরীর ভাটপাড়া এলাকার কামরুল হাসান, তিতাস উপজেলার দক্ষিন দূর্গাপুর গ্রামের মাঈন উদ্দিন ও বুড়িচং উপজেলার দক্ষিন গ্রামের রুবেল আহমেদ ওরফে মিন্টু।
গত রোববার (৪ঠা ফেব্রæয়ারি) বেলা ১১টায় কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনা সহ গ্রেফতারকৃতদের বিষয়ে প্রেস ব্রিফিং করেন কুমিল্লা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।
তিনি বলেন, সম্প্রতি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফারমার চুরির অন্তত ১টি অভিযোগ পাওয়া যায়। সেই অভিযোগের সূত্র ধরে গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ট্রান্সফারমার চোর চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেফতার করে।
পুলিশ সুপার বলেন, গ্রেফতারকৃতরা বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরির একটি সংঘবদ্ধ দলের সদস্য। গ্রেফতার ৫ জন ছাড়াও অন্তত ৩০ জন ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মনির, সোহেল ও রুবেলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। সংঘবদ্ধ চোর চক্রের গ্রেফতার সদস্যদের কাছ থেকে বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমারের তামার তার ১৬ কেজি, স্টিলের পাত ৫০ কেজি, ৪৪ কেজি ওজনের তামার কয়েল, লোহার তার সাড়ে ১৪ কেজি, ৫টি ঢাকনা ও ট্রান্সফারমারের একটি খোসা উদ্ধার করা হয়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, নাজমুল হাসান, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজেস বদুয়াসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।