শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যা মামলায় যুবকের মৃত্যুদন্ড

ষ্টাফ রিপোর্টার\ কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তৃতীয় শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে এক যুবককে মৃত্যুদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার (২রা এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। সেই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার দত্ত বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দন্ডপ্রাপ্ত আসামি মোহাম্মদ আলী বাপ্পি (২১) চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গজারিয়া গ্রামের মো. জাকারিয়ার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার বিবরণ দিয়ে অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার দত্ত জানান, ২০১৯ সালের ১৫ই মার্চ দুপুরে চৌদ্দগ্রাম উপজেলার গজারিয়া গ্রামের ওই ছাত্রী তার নিজ বাসার সামনে খেলছিল। এ সময় প্রতিবেশী বাপ্পি তেঁতুলের লোভ দেখিয়ে শিশুটিকে তার ঘরে নিয়ে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে তাকে হত্যা করে মরদেহ পাশের ডাকাতিয়া নদীতে ফেলে দেয়। পরদিন ওই শিশুর মরদেহ খুঁজে পায় স্বজনরা। এ ঘটনায় শিশুর বাবা বাদী হয়ে চৌদ্দগ্রাম থানায় একটি মামলা করেন। পরে পুলিশ বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করে।
তিনি আরো জানান, পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চৌদ্দগ্রাম থানার এসআই ইকবাল মনির আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় ২০১৯ সালের ২রা জুন আসামি মোহাম্মদ আলী বাপ্পীসহ একই গ্রামের আবুল কালামের ছেলে মিজানকে (২২) অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলাটি বিচারে এলে বাপ্পির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আসামি মোহাম্মদ আলী বাপ্পিকে মৃত্যুদন্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমান এবং অপর আসামি মিজানের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় তাকে বেকসুর খালাস দেন আদালত।