বেনাপোল বন্দরে টানা ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ
আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে টানা ৫ দিন আমদানি-রপ্তানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। তবে এ ছুটিতে বাংলাদেশ-ভারতের পাসপোর্টধারী যাত্রীদের চলাচল স্বাভাবিক থাকবে।
বেনাপোলের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল হক লতা এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
এমদাদুল হক লতা জানান, আগামী মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকাল থেকে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ হয়ে যাবে। কাস্টমস ও বন্দরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজ নিজ বাড়িতে ঈদ উদযাপন করতে দেশের বাড়িতে যাবেন।
তিনি আরও বলেন, সরকার ঈদের ৩ দিন আগে পরে ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান চলাচল বন্ধ রাখায় বন্দর থেকে কোনো পণ্য খালাসও হবে না। অনেক আমদানিকারক ঈদের ছুটিতে পরিবার পরিজন নিয়ে দেশের বাড়িতে যাবেন।
দুই দেশের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ও বন্দর সূত্রে জানা গেছে, বুধবার থেকে ঈদের ছুটি শুরু হচ্ছে। এরপর সাপ্তাহিক ছুটি ও পহেলা বৈশাখ মিলিয়ে পাঁচ দিন বন্দর বন্ধ থাকবে। সোমবার (১৫ এপ্রিল) থেকে পুনরায় বন্দর ও কাস্টমসের কার্যক্রম সচল হবে।
এদিকে, টানা ছুটির কারণে সীমান্তের দু’পাশের বন্দরে ট্রাকের জট আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন বন্দর ব্যবহারকারীরা। বেনাপোলের মতোই পেট্রাপোল বন্দরেও ট্রাকের জট রয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্ট পুলিশ ইমিগ্রেশনের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুজ্জান বিশ্বাস বলেন, ‘ঈদুল ফিতর ও সাপ্তাহিক ছুটির কারণে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকলেও স্বাভাবিক থাকবে পাসপোর্ট যাত্রীদের যাতায়াত। এ সময় একটু বেশি ভিড় হয়ে থাকে। সে কারণে ইমিগ্রেশনে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।’
বেনাপোল বন্দরের পরিচালক (ট্রাফিক) রেজাউল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) বিকেল থেকে ঈদের ছুটিতে বন্দরের সব কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দরে যাতে কোনো ধরনের নাশকতামূলক বা অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। বন্দরের নিজস্ব নিরাপত্তা বাহিনী ও আনসার সদস্যরা দিনে ও রাতে বন্দর এলাকায় টহল দেবেন। পাশাপাশি বেনাপোল পোর্ট থানাকে বিষয়টি বলা হয়েছে। আগামী ১৫ এপ্রিল থকে যথারীতি এ বন্দরের সকল কার্যক্রম শুরু হবে।