কুমিল্লা নগরীর আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ
কুমিল্লা নগরীর ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় (ডাম্পিং স্টেশন) থেকে আবর্জনা পরিশোধনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক)। এতে শহরতলি ও জগন্নাথপুর এলাকার অর্ধ লাখ মানুষ তিন দশকের বিষাক্ত দুর্গন্ধের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সেই লক্ষ্যে কুমিল্লার শহরতলির জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ঝাঁকুনিপাড়া এলাকায় ল্যান্ডফিল পরিদর্শন করেছেন কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার এমপি ও কুসিক মেয়র ডা. তাহসিন বাহার সূচনা। তাদের সঙ্গে ছিলেন কুসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুন নাহার, নির্বাহী প্রকোশলী আবু সায়েম ভূঁইয়া, মো. মাঈন উদ্দিন চিশতী, কাউন্সিলর ও অন্যান্য কর্মকর্তা এবং জগন্নাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ মামুন প্রমুখ।
এ প্রসঙ্গে কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বাসসকে বলেন, আমরা ময়লা থেকে শক্তি উৎপাদন করব। এটা পরিবেশবান্ধব হবে। ময়লার দুর্গন্ধে অনেকে এ এলাকায় বসবাস করতে বিব্রতবোধ করে। আমরা এখানে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায দুটি পরিকল্পনা নিয়েছি। একটি ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, অন্যটি ওয়েস্ট এনার্জি। ময়লাটা বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর হবে। এ বিদ্যুৎ রাষ্ট্রের কাজে ব্যবহার করা হবে। মানুষ দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পাবে। আমরা কাগজে-কলমে দেখতে পারতাম, কিন্তু তা না করে আমরা প্রাকটিক্যাল অবস্থাটা দেখে কিছু সিদ্ধান্ত দিয়েছি। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা সেই অনুসারে কাজ করবে।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ডা. তাহসিন বাহার সূচনা বলেন, প্রধানমন্ত্রী ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন উন্নযনের মহাসড়কে। একসময যে জায়গাটা ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে, সেই ময়লা থেকে একসময় বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। আমরা কীভাবে কাজ করব, সে সুপরিকল্পনা করতেই এখানে এসেছি।
কুমিল্লা নগরী থেকে বিবিরবাজার স্থলবন্দর সড়ক। এ সড়কের সীমান্তবর্তী দৌলতপুর-ঝাঁকুনিপাড়ায় তিন দশক থেকে ময়লা ফেলছে সিটি করপোরেশন।
স্থানীয় জগন্নাথপুর ইউপি চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বাসসকে বলেন, বর্জ্যরে দুর্গন্ধ ও আগুনে পোড়ানো ধোঁয়ায় ভাগাড়স্থলের আশপাশের তিন-চার কিলোমিটার এলাকার প্রায় ২২টি গ্রামের পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এখানে আধুনিক পদ্ধতিতে বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করার যে উদ্যোগ এমপি ও মেয়র নিয়েছেন, এতে এলাকার মানুষ খুশি। এটা এলাকাবাসীরও দীর্ঘদিনের দাবি।