স্কুল শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ মামলায় ধর্ষক গ্রেপ্তার
নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার কেন্দ্র থেকে পরীক্ষা শেষে বাড়ী যাওয়ার সময় জোরপূর্বক তুলে নিয়ে ধর্ষণ করার ঘটনায় গত রোববার (৩০শে জুন) রাত সাড়ে ৯টার সময় উপজেলার জয়পুর চাঁনমিয়া মার্কেটের সামন থেকে ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত ধর্ষক মো. মোস্তফা (৩৫) দেবীদ্বার উপজেলার ফতেহাবাদ ইউপির জয়পুর গ্রামের মৃত. আব্দুল আওয়াল মিয়ার পুত্র। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন দেবীদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ মো. নয়ন মিয়া।
থানার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ভিকটিম বিথী রানী রায় (১৫) এর পিতা উপজেলার ফতেহাবাদ ইউপির জয়পুর গ্রামের অরুণ চন্দ্র রায় (৫০) থানায় এসে উপজেলার একই গ্রামের মৃত আব্দুল আওয়ালের পুত্র মোঃ মোস্তফা (৩৫), এর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন যে, বাদীর মেয়ে ভিকটিম বিথী রানী রায় (১৫) খলিলপুর উচ্চ বিদ্যালয় হতে ২০২৪ সালে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়। বিবাদী বাদীর মেয়েকে স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে ভালোবাসার প্রলোভন দেখিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ রাস্তা-ঘাটে উত্ত্যক্ত করে। বিবাদী ভিকটিমকে প্রেমের প্রস্তাব দিলে রাজী না হওয়ায় বিবাদী ভিকটিমকে তুলে নিয়ে যাবে বলে হুমকি দেয়। ভিকটিম খলিলপুর স্কুল হতে এসএসসি পরীক্ষা শেষে বাড়িতে ফেরার পথে গত ২৫শে ফেব্রæয়ারী বিকেল ৪টায় বর্ণিত ঘটনাস্থলে বিবাদী সিএনজি (অটোরিক্সা) যোগে এসে পথরোধ করে ভিকটিম বিথী রানী রায়কে (১৫) মুখ চেপে সিএনজিতে তুলে অপহরণ করে অজ্ঞাতস্থানে নিয়া যায়। তখন ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে যায়। পরবর্তীতে জ্ঞান ফিরলে দেখতে পায় যে, ভিকটিম একটি বিল্ডিং ঘরের রুমের মধ্যে আছে। তখন বিবাদী ভিকটিমকে প্রাণ নাশের ভয় দেখিয়ে তার পরনের কাপড় চোপড় খুলে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বকভাবে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ করার পরে ভিকটিম যদি ঘটনার বিষয়ে কাউকে কিছু বলে বা পরিবারকে কিছু জানায় তাহলে ভিকটিমকে মেরে ফেলবে মর্মে হুমকি প্রদান করে। পরে বিবাদী বাদীর মেয়েকে সিএনজিযোগে খলিলপুর রাস্তার মাথায় এনে নামিয়ে দেয়। বাদীর উক্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে থানায় মামলা রুজু করা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মোঃ মাসুদ একদল পুলিশ নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন।