শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

কুমিল্লায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ

কুমিল্লায় বর্জ্য থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ

            ষ্টাফ রিপোর্টার\ কুমিল্লা নগরীর ময়লা-আবর্জনার ভাগাড় (ডাম্পিং স্টেশন) থেকে আবর্জনা পরিশোধনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উদ্যোগ নিয়েছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক)। কুমিল্লা শহরতলির জগন্নাথপুর ইউনিয়নের ঝাঁকুনিপাড়া এলাকায় ল্যান্ডফিল পরিদর্শন করে এমন কথা জানিয়েছেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসিন বাহার সূচনা। তাদের আশা, আবর্জনা থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন করা গেলে শহরতলি ও জগন্নাথপুর এলাকার অর্ধ লাখ মানুষ ৩ দশকের দুর্গন্ধের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবেন।

            সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেন, ‘আমরা ময়লা থেকে শক্তি উৎপাদন করব। এটা পরিবেশবান্ধব হবে। ময়লার দুর্গন্ধে অনেকে এ এলাকায় থাকতে বিব্রতবোধ করেন। আমরা এখানে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায দু’টি পরিকল্পনা নিয়েছি। একটি ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট, অন্যটি ওয়েস্ট এনার্জি। ময়লা বিদ্যুৎ শক্তিতে রূপান্তর হবে।’

            তিনি আরও বলেন, ‘এখানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ রাষ্ট্রের কাজে ব্যবহার করা হবে। মানুষ দুর্গন্ধ থেকে রক্ষা পাবেন। আমরা কাগজে-কলমে দেখতে পারতাম, কিন্তু তা না করে প্রাকটিক্যাল অবস্থাটা দেখে কিছু সিদ্ধান্ত দিয়েছি। সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তারা সেই অনুসারে কাজ করবেন।’

            কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. তাহসিন বাহার সূচনা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অনেক দূর এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে। যে জায়গাটা ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে, সেই ময়লা থেকে একসময় বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। আমরা কীভাবে কাজ করব, সে পরিকল্পনা করতেই এখানে এসেছি।’

            কুমিল্লা নগরী থেকে বিবিরবাজার স্থলবন্দর সড়ক। এ সড়কের সীমান্তবর্তী দৌলতপুর-ঝাঁকুনিপাড়ায় ৩ দশক ধরে ময়লা ফেলছে সিটি করপোরেশন।

            জগন্নাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মামুনুর রশিদ বলেন, ‘বর্জ্যের গন্ধ এবং আবর্জনায় দেয়া আগুনের ধোঁয়ায় ভাগাড়স্থলের আশপাশের তিন-চার কিলোমিটার এলাকার প্রায় ২২টি গ্রামের পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। এখানে আধুনিক পদ্ধতিতে বর্জ্য প্রক্রিয়াজাত করার যে উদ্যোগ সংসদ সদস্য ও মেয়র নিয়েছেন তাতে এলাকার মানুষ খুশি। এটা এলাকাবাসীরও দীর্ঘদিনের দাবি ছিল।’

            এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশরাফুন নাহার, নির্বাহী প্রকোশলী আবু সায়েম ভূঁইয়া, মো. মাঈন উদ্দিন চিশতী প্রমুখ।

Share This

COMMENTS