শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

চাকরি পুনর্বহাল চান আ.লীগ আমলে চাকরি হারানো পুলিশ ক্যাডারের ৫০ কর্মকর্তা

চাকরি পুনর্বহাল চান আ.লীগ আমলে চাকরি হারানো পুলিশ ক্যাডারের ৫০ কর্মকর্তা

আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে চাকরিতে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে চাকরি হারানো পুলিশ ক্যাডারের ৫০ জন কর্মকর্তা।

বুধবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে এসে সাবেক অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক এ কে মাহফুজুল হক সাংবাদিকদের এ কথা জানান।

তিনি পুলিশ ক্যাডারের ১৯৮৪ ব্যাচের কর্মকর্তা। পুলিশ স্টাফ কলেজের রেক্টরের পদ থেকে ২০০৯ সালে তাকে ওএসডি করা হয়।

মাহফুজুল হক বলেন, আমাদের এখানে যারা আছেন সবাই গত ১৬ বছরে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত। অন্যায়ভাবে বরখাস্ত, অন্যায়ভাবে জেলে দেওয়া, ওএসডি করা, চাকরিচ্যুত করা অফিসাররা আমরা একত্রিত হয়েছি। কারো এখন চাকরির বয়স নেই।

তিনি বলেন, বিনা দোষে আমাদের পুলিশের দুজন কর্মকর্তাকে পাঁচ বছর করে জেল খাটানো হয়েছে। তাদের কোনো অপরাধ ছিল না। তাদের দায়িত্ব পালনের ব্যর্থতা থাকতে পারে, এজন্য জেল হতে পারে না।

২০০৯ সালে আমাদের ২৪ জন কর্মকর্তাকে একসঙ্গে বরখাস্ত করা হয়েছে। আরও ২৬ জনকে বিভিন্নভাবে পদোন্নতি বঞ্চিত করে এদিকে সেদিকে বিভিন্ন ট্রেনিং সেন্টারে ফেলে রেখে তাদের কাজে না লাগিয়ে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এবং সচিবের কাছে তাদের দুটি দাবি জানিয়ে এই সাবেক কর্মকর্তা বলেন, আমাদের প্রথম দাবিটি হলো- আমরা ৫০ জন কর্মকর্তা এখানে একত্রিত হয়েছি। যাদের অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, প্রত্যেককে তাদের ন্যায্য সম্মান ও পদোন্নতি আগামী ৪৮ ঘণ্টা অর্থাৎ এ সপ্তাহের মধ্যে একটি অর্ডার করে ফিরিয়ে দিতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের দ্বিতীয় দাবি হলো- আমাদের মধ্যে যারা যেখানে উপযুক্ত তাদের হারানো সম্মান যখন আমরা ফেরত পাব, সেই মর্যাদা ধরে যোগ্যতা বিবেচনায় নিয়ে সরকারের যে জায়গাগুলোতে পুলিশ কন্ট্রিবিউট করতে পারে, সেই জায়গাগুলোতে চুক্তিভিত্তিক পদায়ন করতে হবে।

মাহফুজুল হক বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ ক্যাডারকে ব্যবহার করে স্বৈরাচার সরকার এই সমস্ত দলকানা, পক্ষপাত দুষ্ট, দুর্নীতিগ্রস্ত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র হত্যাকারী কর্মকর্তাদের দিয়ে পুলিশ পরিচালনা করেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ পুলিশ নষ্ট হয়ে গেছে, এখন আর এর কোনো ওজন নেই।

তিনি বলেন, একইসঙ্গে আমরা দাবি জানাচ্ছি, যেসব পুলিশ কর্মকর্তারা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হত্যার জন্য দায়ী, যারা পরিকল্পনাকারী, যারা এর সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিল, তাদের চাকরিচ্যুত করা। তাদের চাকরিচ্যুত করা হলে যে পদগুলো খালি হবে, সেখানে আমাদের হারানো সম্মান প্রদানপূর্বক সেই পদে চুক্তিভিত্তিক পুলিশ হেডকোয়ার্টারে তাদের পদায়ন করা হোক।

Share This