শুক্রবার, ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

প্রবাসীদের মাঝে উৎকণ্ঠা দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কায় দেশের ১০ ব্যাংক

            ষ্টাফ রিপোর্টার\ বাংলাদেশে স্বায়ত্তশাসিত ও বেসরকারি ১০টি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কায় প্রবাসীদের মাঝে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ. মনসুর এসব ব্যাংক রায় আশ্বাস দিলেও তাতে গ্রাহকরা সন্তুষ্ট হতে পারছেন না। সবচেয়ে আতঙ্ক, উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠার বিষয় হলো- অ্যাকাউন্টে যত টাকাই থাকুক না কেন, ব্যাংক দেউলিয়া হলে একজন গ্রাহক বীমার আওতায় মাত্র ২ লাখ টাকা ফেরত পারেন।

            প্রবাসীরা বলছেন, লাখ লাখ প্রবাসী তাদের কষ্টে অর্জিত অর্থ দেশে রেমিট্যান্স হিসাবে পাঠান। সেই অর্থ বাংলাদেশের বিভিন্ন ব্যাংকে সঞ্চিত আছে। কোন ১০টি ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পথে তা উল্লেখ না থাকায় সব গ্রাহকদের মাঝে উৎকণ্ঠা তৈরি হয়েছে। সঞ্চিত অর্থ হারালে তাদের পথে বসতে হবে।

            নিউইয়র্ক প্রবাসী ক্যাবি শাহ আলম তালুকদার বলেন, গত ৮ বছরে তিনি দেশে ১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা পাঠিয়েছেন। বাড়ি করবেন এজন্য সব টাকাই তিনি দেশের একটি ব্যাংকে জমা রেখেছেন। ১০ ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার আশঙ্কায় তিনি উদ্বিগ্ন দিন কাটাচ্ছেন। তিনি বলেন, ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স স্কিমের আওতায় গ্রাহককে এক লাখ টাকার পরিবর্তে ২ লাখ টাকা দেয়া হবে। কিন্তু যাদের লাখ লাখ টাকা ব্যাংকে আছে, তাদের কি হবে? তার মানে তার মত একজন গ্রাহকের কোটি টাকা লোপাট হলেও তিনি ফেরত পাবেন দুই লাখ টাকা। এটা কেমন নিয়ম?

            প্রবাসী আরিফুল ইসলাম সৈকত বলেন, ব্যাংক দেউলিয়ার আশঙ্কায় তিনি চরম উৎকণ্ঠায় রয়েছেন। তার নির্ঘূম রাত কাটছে। ব্যাংকের টাকা হারালে তিনি পথে বসে যাবেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, খুব শিগগির দেশে যাব। যেসব ব্যাংকের সুনাম আছে, সেসব ব্যাংকে টাকা স্থানান্তর করবো। জালিয়াতি ও লুটপাটে দেশের ১০ ব্যাংক দেউলিয়া হওয়ার পর্যায়ে চলে গেছে। অন্তর্র্বতী সরকার এসব ব্যাংক রক্ষার চেষ্টা করছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। গত ৮ই সেপ্টেম্বর রোববার কেন্দ্রীয় ব্যাংকে সমসাময়িক বিষয় নিয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি।

            কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর বলেন, আমরা আশা করি না কোনো ব্যাংক দেউলিয়া হবে। তবে এটাও ঠিক অনেক ব্যাংক দেউলিয়া হয়ে আছে। কিন্তু আমরা কাস্টমারের স্বার্থ রা করবো। এই ব্যাংকগুলোকে আমরা ঘুরে দাঁড়াতে সাহায্য করবো। তিনি আরো বলেন, দেউলিয়ার পথে ১০টা ব্যাংকের মতো। সেটা কথা নয়, এগুলোকে আমরা টার্ন অ্যারাউন্ড করবো ইনশাআল্লাহ। দরকার হলে মার্জ করবো। কাস্টমার আলটিমেটলি ক্ষতিগ্রস্ত হবে না। এমন পরিস্থিতিতে গ্রাহকদের আস্থা ফেরাতে ডিপোজিট ইনস্যুরেন্স স্কিম এক লাখ টাকার পরিবর্তে ২ লাখ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।

Share This

COMMENTS