রাজনীতিতে প্রবেশ করে মানুষের পাশে থাকতে চান প্রয়াত বিএনপি নেতা খোকনের সহধর্মিনী মাহফুজা আক্তার
তমিজ উদ্দিন চুন্নু\ লাকসাম পৌরসভা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রয়াত এস এম তাজুল ইসলাম খোকনের সহধর্মিনী বলেন বাকি জীবনটা রাজনীতি ও জনকল্যাণমূলক কাজ করে মানুষের পাশে থাকতে চান। এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার (৩রা অক্টোবর) তাজুল ইসলাম খোকনের পেয়ারাপুরস্থ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, লাকসাম উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ শাহ আলম, সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আবুল হাসেম সওদাগর, লাকসাম উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জিল্লুর রহমান ফারুক, লাকসাম উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক রাজু, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আলী হায়দার মামুন, পৌরসভা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ আজাদ হোসেন, ন.ফ.স.কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক এড: নাজমুল হাসান রনি, লাকসাম পৌরসভা ছাএদল নেতা মোঃ মহিন, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মোঃ সাদ্দাম, পৌরসভা সেচ্চাসেবক দল নেতা মোঃ রাশেদ, মোঃ রুবেল ও সাবেক ছাত্রদল নেতা মোঃ সবুজ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে তাজুল ইসলাম খোকনের সহধর্মিনীর লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘প্রিয়, লাকসামবাসী আসসালামুয়ালাইকুম। আমি এসএম মাহফুজা আক্তার, লাকসাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব ও লাকসাম পৌরসভা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মরহুম এস এম তাজুল ইসলাম খোকন এর সহধর্মিনী। আমার স্বামী গত দীর্ঘ ৪০ বছরের বেশি সময় লাকসামে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনকে সুসংগঠিত করার লক্ষ্যে অনেক অবদান রেখেছেন। অনেক বাধা-বিপত্তি নানান ষড়যন্ত্র মিথ্যা মামলা হামলা দমন নিপীড়ন কোন কিছুই আমার স্বামীকে রাজনীতি থেকে দূরে সরাতে পারেনি। বাইপাসে অনিক হত্যা মামলায় ক্ষমতালোভী তাজুল ইসলাম আমার স্বামীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে রিমান্ডে আনার কারণে তিনি হার্ট অ্যাটাক করেন এবং ২০ে নভেম্বর ২০২৩ তারিখে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে আমার সন্তানদেরকে এতিম করে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। আমার স্বামী এমন একজন মানুষ ছিলেন যিনি নিজের সন্তানদের চেয়েও দলের কর্মীদেরকে ভালবাসতেন আবার দলের নেতাকর্মীরাও উনাকে ভালবাসতেন। একটা সময় দলের নেতাকর্মীরা ওনাকে জনপ্রতিনিধির চেয়ারে বসানোর আকাঙা করেছিলেন কিন্তু আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে চলে যাওয়ার কারণে আর হয়ে ওঠেনি। আমি এতদিন ছিলাম উত্তর-পশ্চিমগাঁও লাকসাম এর একজন গৃহবধূ। আমি কারো মেয়ে বা কারো বোন। বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমার স্বামী হারানোর স্মৃতি বুকে ধারণ করে তার হাজারো নেতাকর্মীর সহযোগিতা ও এলাকাবাসীর সমর্থন নিয়ে রাজনীতিতে পদার্পন করবো এই দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। আমার স্বামীর মৃত্যুর পর বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক লাকসাম-মনোহরগঞ্জ এর অভিভাবক জননেতা আবুল কালাম সাহেব নিয়মিত আমার পরিবারের খোঁজখবর রেখেছেন এবং আমার স্বামীর স্বপ্ন বাস্তবায়নে রাজনীতিতে সক্রিয় হওয়ার জন্য আমাকে অনুপ্রেরণা ও উৎসাহ দিয়েছেন। এছাড়া আরো অনেক নেতৃবৃন্দ আমার পরিবারের খোঁজখবর রেখেছেন। আমি এবং আমার পরিবার সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমি আশা করছি সকলে সহযোগিতা করলে রাজনীতিতে সক্রিয় অংশগ্রহণ করব এবং সুযোগ পেলে জনপ্রতিনিধি হয়ে লাকসামবাসীর খেদমতে নিজেকে আত্মনিয়োগ করবো। এই প্রত্যাশা রাখছি।’