বুধবার, ১৯শে মার্চ, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

সমাজ সংস্কারে আলেম সমাজের ভূমিকা

৬৫ Views

   অধ্যক্ষ ইয়াছিন মজুমদার ॥ রাসূল (সঃ) সমাজের শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষার প্রচেষ্টায় যুবকদের নিয়ে গড়েছিলেন হিলফুল ফুজুল নামক একটি সংঘঠন।  ক্লাব ও সামাজিক সংগঠন এ ধরণের জনকল্যাণমুলক উদ্দেশ্যেই গঠিত হওয়া প্রয়োজন। কিছুদিন আগে দেশের বিভিন্ন ক্লাবে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানে ক্যাসিনো, মদ, নারী সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি উঠে আসে। সম্প্রতি উত্তরায় বোট ক্লাবে নায়িকা পরীমনির ঘটনায় অন্যান্য ক্লাবের চিত্র ফুটে উঠে। সেখানে সরকার অনুমোদিত মদের বার রয়েছে। রাত ১২টার পর অনাত্মীয় লোকের সাথে ক্লাবে যাওয়া, মদ পান করা বা জোর করে মদ পান করানো আমাদের সমাজের নৈতিক অবক্ষয়ের নমুনা মাত্র। আন্তর্জাতিক ইসলাম বিরোধীচক্র মুসলমানদের নৈতিক চরিত্র বিনষ্টের জন্য ইসলামী সংস্কৃতির বিপরীত সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করে যাচ্ছে। বর্তমানে ক্লাব সংস্কৃতি তারই অংশ বলে প্রতিয়মান হয়। অপরদিকে, আলেম সমাজ জুমআর খুতবায়, তাদের লেখনি, ধর্মীয় মাহফিলে আলোচনার মাধ্যমে পরকালীন জবাবদিহিতাকে সামনে এনে মানুষকে এ সকল অসামাজিক কাজ থেকে বিরত রেখে সুস্থ্য শান্তিপূর্ণ সমাজ উপহার দিতে চেষ্টা চালাচ্ছে, সমাজে কিছু হলেও এর প্রভাব পড়ছে। বর্তমানে অনুমতি জটিলতায় ওয়াজ মাহফিল বন্ধ প্রায়। আল্লাহর বাণী প্রচার হবে এর জন্য অনুমতি নিতে হবে এটা কেন? অতীতে অনুমতি ছাড়া ওয়াজ মাহফিলে কোন সমস্যা হয়নি। অপরদিকে, কোন আলেমের সঠিক কথা যদি কোন ব্যাক্তি বা দলের বিপক্ষে যায় তাকেও রোষানলের শিকার হতে হয়। এ কারণে সুস্থ্য সমাজ ব্যবস্থা বজায় রাখার প্রচেষ্টাকারী আলেম সমাজ সমস্যার আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে। ইসলাম বিরোধীরা আলেম সমাজকে হেয় করতে সচেষ্ট রয়েছে। তাদের সামান্য ক্রটিকে বড় করে দেখানোর চেষ্টা করা হয়, ব্যাক্তিগত বিষয়কে সমগ্র আলেমদের উপর চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হয়। নাটক সিনেমায় খারাপ চরিত্রের ব্যাক্তিকে আলেমের লেবাছে দেখানো হয়। আলেম সমাজ ক্ষতিগ্রস্ত হলেই ইসলাম ক্ষতিগ্রস্ত হবে। জিয়াদ ইবনে হাদির (রাঃ) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন ওমর (রাঃ) আমাকে বললেন তুমি কি জান কিসে ইসলামকে ধ্বংস করবে? আমি বললাম জানিনা, তখন ওমর (রাঃ) বলেন আলেমদের অপমান, আল্লাহর কিতাব কোরআন নিয়ে মোনাফিকদের বাক বিতন্ডা এবং পথ ভ্রষ্ট শাসকদের হুকুম (দারেমী বর্ণিত)।

অনেকে আলেম সমাজের মতভেদকে ইস্যু করে মাহফিলের বিপক্ষে প্রচারণা চালাতে চেষ্টা করেন অথচ গবেষণা মুলক বিষয়ে মতভেদ স্বাভাবিক ব্যাপার। আমার এক আত্মীয়কে নামীদামী কয়েকটি হাসপাতালে নেয়া হয়েছিল ডাক্তারগণ প্রায় প্রত্যেক বার পূর্বের ব্যবস্থাপত্র পরিবর্তন করেছেন। কারণ গবেষণা করে ডাক্তাররাও রোগ নির্র্ণয়ে মতভেদ করছেন। চিকিৎসা যেমনি চিন্তাগবেষণার আলোকে হয়। যুগের পরিবর্তনের সাথে ইসলামে যে সকল নতুন বিষয় সামনে আসে সেগুলোও গবেষণার আলোকে হয়। তাই আলেমদের মধ্যে মতভেদ থাকতেই পারে। তবে মতভেদ যেন বিরোধে পরিণত না হয় যে দিকে আলেমদের খেয়াল রাখা উচিত। যুগে যুগে আলেমদের মধ্যে মতভেদ ছিল। মত পার্থক্যের কারণে মাযহাবও চারটি। এক মাযহাবে শরীরের কোন স্থান থেকে রক্ত বেরিয়ে গড়িয়ে পড়লে অযু বিনষ্ট হয়ে যাবে। বিনা অযুতে সিজদা করা কুফুরী। অপর মাযহাবে রক্ত গড়িয়ে পড়লে অজু বিনষ্ট হবেনা। উভয়পক্ষেরই দলিল আছে। মাযহাবের কোন ইমাম মনগড়া ফতোয়া দেননি। বর্তমানে যে অবস্থা দেখা যায় এ ধরণের মত পার্থক্যের কারণে এক আলেম আরেক আলেমকে কাফির ফতোয়া দিতে দ্বিধা করে না। অথচ সকল মাযহাব হক, যে কোন একটি অনুসরণ করলে হক পথে থাকা হবে। গবেষকদের ভুল হতেই পারে। নবী (সঃ) গবেষকদের ভুল হলেও একগুণ পূণ্য সঠিক হলে দ্বিগুণ পূণ্য ঘোষনা করেছেন। আমাদের কাজ হলো গবেষকদের সমালোচনা না করে আক্রমনাত্মক কথা না বলে কোরআন হাদিস অনুযায়ী ভুল প্রমানিত হলে সংশোধন করা এবং সঠিকটা গ্রহন করা। পূর্ববর্তী আলেম ও গবেষকদের সময়েও তাদের ভুল নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কখনো কখনো কেউ কেউ কঠোর কথাও বলেছেন যেমন আবদুল কাদের জিলানী (রঃ) তার গুনিয়্যতুত তালেবীন কিতাবে ইমাম আবু হানিফা (র:) ও তার অনুসারীদের ৭২ কাতারের অন্তর্ভূক্ত বাতিল ফেরকা বলেছেন। ইমাম আবু হানিফা (রঃ) এর বহু মাসয়ালার ভুল তার ছাত্র ইমাম আবু ইউসুফ (রঃ) ও ইমাম মোহাম্মদ (রঃ) এবং গবেষক ইমাম কারখী, ইমাম  ছিবওয়ারী প্রমুখ সংশোধন করেছেন। ইমাম বুখারী (রঃ) ইমাম আবু হানিফা (রঃ) কে বাজুন্নাছ বলেছেন। কিন্ত এ বলা দ্বারা ইমাম আবু হানিফার (রঃ) এর মর্যাদা কমেনি, উনার বাকী গবেষণাগুলো অংশগ্রহণ যোগ্য হয়ে যায়নি। বুখারী শরীফের কিতাবুত তাফসীরের সূরা কাছাছের ৮৮নং আয়াতের তাফসীরের কারণে নাসিরুদ্দীন আলবানী বলেছেন কোন মোমিন মুসলমান এ তাফসীর করতে পারে না, ফতোয়ায়ে শায়খ আলবানী পৃষ্ঠা (৫২৩)। ইমাম জুহালী ইমাম বুখারী (রঃ) কে বাতিল ফেরকা এবং মুসলমানদের কবরস্থানে দাফন করতে নিষেধ করেছেন, সিয়ারে নুবালা ১/৪৫৬ তারিখে বাগদাদ ২/১৩ তাবাকাতু শাফেয়ীয়াতুল কুবরা ২/২২৯)। ইমাম ইবনে খালিকান ইমাম মুসলিমকে জাহমিয়া বলেছেন। ইমাম নাসাইকে শিয়া বলা হয়েছে। ইবনে হাজম ইমাম তিরমিজিকে মাজহুল বলেছেন, (মিজানুল ইতেদাল ৩/৬৭৮)। তাফসীরে জালালাইনের সূরা ছোয়াদ এর ২১ থেকে ২৪নং আয়াতের তাফসীরে দাউদ (আঃ) এর ৯৯জন স্ত্রী থাকা সত্ত্বেও একজন সৈনিকের সুন্দরী স্ত্রীর প্রতি আসক্তির যে বর্ণনা দিয়েছেন তা সম্পূণর্  ইসরায়েলী রেওয়ায়েত ও একজন নবীর শানের খেলাফ। হাজী এমদাদুল্লা মোজাহের মক্কী (রঃ) এর ফয়সালায়ে হাপ্তে মাসআলায় যেগুলোকে সমর্থন করেছেন তার অনুসারীরা সেগুলোকে বেদআত গন্য করছে। তাঁর লেখা জিয়াউল কুলুবে অনেক জাল হাদিস রয়েছে। মুফতি জাকারিয়ার ফাজায়েল সিরিজে অনেক জাল হাদিসও বিতর্কিত লেখা আছে। আশরাফ আলী থানবী (রঃ) এর বেহেশতী জেওর, চরমোনাই  এর ভেদে মারেফাত, আশেক মাসুক ও তাবিজের কিতাবে অনেক শিরকী বিষয় আছে। তাকবীয়াতুল ঈমান, হেফজুল ইমান, বারাহিনে কাতেয়াসহ কিছু কিতাবের ও লিখনীর জন্য আশরাফ আলী খানবী (রঃ) আবুল কাশেম নানুতুরী (রঃ) রশিদ আহম্মদ গাংগুহি (রঃ) খলিল আহম্মদ আম্বেটুবী (রঃ) কে  মক্কা মদিনার মুফতিগণ কাফির ফতোয়া দিয়েছিলেন যা আহম্মদ রেজাখান সংগ্রহ করে ফতোয়া হুচ্ছামুল হারামাইন নামে বই আকারে প্রকাশ করেছে। নিজ মতকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আলা হজরত অর্থ্যাৎ আহম্মদ রেজাখান মুসান্নাফে আবদুর রাজ্জাক এর মধ্যে নিজ বানানো একটি হাদিসের অধ্যায় সংযোজন করেছেন। (সুত্র: ডা. আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীরের লিখিত হাদিসের নামে জালিয়াতি)।

    আল্লামা ইকবালকে শিকওয়া লেখার পর কাফির ফতোয়া দেয়া হয়। ইমাম গাজ্জালী (রঃ) সবচেয়ে বড় ১০০ খন্ডের কোরআনের তাফসীর লিখেন কিন্তু তাকে অভিযুক্ত করে উক্ত তাফসীর পুড়িয়ে দেয়া হয় সে পোড়া তাফসীরের সামান্য অংশ বৈরুত যাদুঘরে সংরক্ষিত আছে। তার পাঁচকের বুদ্ধিতে তার লেখা এহইয়াউল উলুম পোড়ানোর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিল। মসনবী লেখার জন্য জালালুদ্দীন রুমী ফতোয়ার শিকার হন, আধুনিক ইসলামী গবেষক আল্লামা মওদুদীও ফতোয়ার শিকার হন। এভাবে লিখতে গেল আরো বহু আলেম বহু গবেষকের নাম আসবে যারা ফতোয়ার শিকার হয়েছেন এবং বিরোধীতার মুখে পড়েছেন। বাস্তবতা হলো কোন কারণে বুঝে না বুঝে এরকম কঠোর কথা বলা হলেও গবেষকদের সব কিন্তু ভুল নয়। তাদের হাজার হাজার লেখনি ও গবেষণার দু’চারটি ভুল থাকা অস্বাভাবিক নয়। দু’চারটি ভুল থাকলেও তাদের গবেষণার বিষয়বস্তু ও তাদের লেখনীই আজকের আলেম সমাজের পাথেয়। তারা গবেষণা করে না গেলে ইসলাম আজকে আরো বহু পিছিয়ে থাকতো। আলেম সমাজের উচিত বর্তমানে ও যারা গবেষণা করছেন, মাহফিল করছেন, লেখালেখি করছেন তাদের ভুলগুলো নিয়ে উঠে পড়ে না লাগা বরং ভুল হলে প্রমাণ ভিত্তিক ভুলগুলো সংশোধন করা, তার সাথে খোলামেলা ভাবে ব্যাক্তিগত যোগাযোগ করা, সঠিকটা গ্রহন করা এবং ভুলটা বর্জন করা। সামান্য ভুলের কারণে যদি গবেষণা আলোচনা বন্ধ করে দেয়া হয় তবে ভুল সঠিক নির্ধারণ করা ও সম্ভব হবে না। অপরদিকে, ধর্মীয় মাহফিল অনুমতির আবর্তে ঘুরপাক খেলে দেখা যাবে কোন এক মতের লোকেরা অনুমতি পাবে অন্যরা পাবে না। ফলে একপেশে আলোচনা হবে সঠিকটা ফুটে উঠবে না, সমাজে ভুলটা সঠিক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হবে, মানুষ গোমরাহ হবে। আলোচনার দ্বার উন্মুক্ত থাকলে আলোচনা সমালোচনার মাধ্যমে ভুল সঠিক নির্ধারিত হবে। তাই দলমত নির্বিশেষে সকলের উচিত ধর্মীয় মাহফিলে অনুমতি সিস্টেম তুলে দিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা। আলেমদের মত পার্থক্য হবে গঠন মুলক ও সংশোধন মুলক। যদি তা না হয়ে প্রতিহিংসা মুলক হয় তবে ক্ষতি বয়ে আনবে। এ ধরণের মত পার্থক্যের সুযোগেই মুসলমানদের জ্ঞান বিজ্ঞানের কেন্দ্র বাগদাদ তাতারিয়রা ধ্বংস করার সুযোগ পায়। যেখানে দলমত নির্বিশেষে হত্যা যজ্ঞ চালিয়ে মুসলমানদের রক্তে নদীর পানি রঙিন করা হয়। সমস্ত গবেষণার বই পুস্তুক ধ্বংস করে ফেলা হয়। একই কারণে স্পেন মুসলমানদের হাতছাড়া হয়। অপরদিকে মতভেদ কমানোর মানসিকতা থাকলে সমস্যা সমাধান সহজ হয়। এক সময় কাবাঘরে চারপাশে চার মাযহাবের ইমামের ইমামতিতে বিচ্ছিন্ন ভাবে জামায়াত হতো। বর্তমানে সকল মাযহাবের মানুষ এক ইমামের পিছনে ঐক্যবদ্ধভাবে নামায আদায় করছে। অনেক আলেমকে দেখা যায় তিনি একটি মতকে আঁকড়ে আছেন শুধু সে মতের লোকদের থেকে মাহফিল পাবেন মূল্যায়ন পাবেন এ লোভে। ভিন্নমতের সঠিক দিকটি ও সমর্থন করেন না বরং বিরুপ সমালোচনা করেন। ভিন্নমতের কোন বই পুস্তুক তার অনুসারীদের পড়তে নিষেধ করেন। অথচ সঠিকটা বুঝতে হলে সকল লেখকের বই পড়া অবশ্যক। আবার অনেকে গভীর জ্ঞান অর্জন না করে মাহফিলে বা সামাজিক মিডিয়ায় ভুল বিষয়ে আলোচনা করে বিতর্কে জড়ান। তাই আলেমদের দল মতের সংকীর্ণতার উর্ধ্বে থেকে কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে গভীর জ্ঞান অর্জন করেই আলোচনা করা উচিত। অনেকে ভিন্নমতের কারো লেখার আগপিছ উল্লেখ না করে, লেখার উদ্দেশ্য উল্লেখ না করে, লেখার খন্ডিত অংশ উল্লেখ করে, মুরব্বীদের নিকট থেকে শুনে তা বিশ্বাস করে বিরুপ সমালোচনা করেন অথচ নবী (সাঃ) বলেছেন, ব্যক্তির মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য যথেষ্ট সে যা শুনে তা প্রচার করে। নবী (সাঃ) আরো বলেছেন, তোমরা দান হাদিয়া গ্রহণ কর যতক্ষন তা দানের পর্যায়ে থাকে, যখন তা দ্বীনের ক্ষেত্রে উৎকোচ (ঘুষ) এ পরিণত হবে তা গ্রহণ করো না। তোমরা অর্র্থাভাবে পদ পদবীর প্রয়োজনে তা ত্যাগ করতে সক্ষম হবে না। জেনে রাখো ইসলামের চাকা চলমান থাকবে। তোমরা আল্লাহর কিতাবের পক্ষে অবস্থান করো। জেনে রাখো কোরআন ও রাষ্ট্র ব্যবস্থ্যা (কোরআনের আইন ও রাষ্ট্রীয় আইন) আলাদা হয়ে যাবে। জেনে রাখো শাসকগণ তোমাদের জন্য আইন প্রণয়ন করবে তোমরা তা অনুসরণ করলে পথ ভ্রষ্ট হবে, অনুসরণ করতে অস্বীকার করলে (রাষ্ট্রদ্রোহী হিসাবে) তোমাদের হত্যা করা হবে। সাহাবাগণ বললেন, তখন আমরা কি করবো ইয়া রাসূলাল্লাহ? নবী (সঃ) বললেন, তোমরা তা করবে যা করেছিলেন ঈসা (আঃ) এর সঙ্গীরা। তাদেরকে করাতে চিরে ফেলা হয়েছে শুলিতে (ফাঁসিতে) ঝুলানো হয়েছে তবুও তারা দ্বীনের পথে অটল ছিল। আল্লাহর অনুগত্যের উপর মৃত্যু আল্লাহর অবাধ্য হয়ে বেঁচে থাকার চেয়ে উত্তম (আল মুজামুল সাগির ৪/৪৮৯) । বর্তমানে দেখা যাচ্ছে যে ইসলাম বিরোধীরা মুসলমানদের মধ্যে বিভিন্ন দল উপদল ও বিভিন্ন মত সৃষ্টি করছে এবং সকল মতের লোকদের সাথে ভিন্নভাবে সম্পর্ক রেখে সকলকে শক্তিশালী করছে। এদের উর্দ্দেশ্য হল এভাবে দল উপদল সৃষ্টি করে সকলকে শক্তিশালী করে একের বিরুদ্ধে অপরকে লেলিয়ে দিয়ে একের বিরুদ্ধে অপরকে দিয়ে ফতোয়া দিয়ে ঐক্য বিনষ্ট করা ও ইসলামের ক্ষতি করা। আলেমদের এ ব্যাপারে সতর্ক থেকে সমাজ সংস্কারে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ না হলে সমাজের অবক্ষয়ের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে।

(লেখক: অধ্যক্ষ, ফুলগাঁও ফাজিল ডিগ্রি মাদরাসা, লাকসাম, কুমিল্লা )

Share This