
‘শিরকযুক্ত ইবাদত ও ঈমান আল্লাহপাকের গ্রহনযোগ্য হবে না’ - খতিব, লাকসাম হাউজিং এস্টেট জামে মসজিদ

ষ্টাফ রিপোর্টার॥ বান্দার যাবতীয় আমল কবুলের প্রধান শর্ত হলো শিরকমুক্ত ঈমান ও ইবাদত, আল্লাহর নিকট কোন কিছু চাওয়ার ক্ষেত্রে অংশিদার বা শিরক করা যাবেনা, ইবাদতে সামান্যতম যদি কোন ধরণের সন্দেহ অথবা বিশ্বাসে ঘাটতি থাকে তাহলে রাব্বুল আলামীন তা কবুল করবেন না। গত শুক্রবার জুমার নামাযের খুতবা পূর্ব আলোচনায় ‘ইবাদতে ও ঈমানে শিরক প্রবেশের ভয়াবহতা সর্ম্পকে’ আলোচনা করেন, লাকসাম হাউজিং এস্টেট জামে মসজিদের খতিব মাওলানা মোঃ বিলাল হোসাইন মালেকী। তিনি বলেন, ইবাদতের পাশা-পাশি আল্লাহর অস্তিত্বে ও মর্যাদায় সমমর্যাদাসম্পন্ন অন্যকিছুকে অংশীদার সাব্যস্ত করা ও মারাত্নক শিরক। তাই কোন μমেই আল্লাহ ব্যতীত কারো দাসত্ব, আনুগত্য ও উপাসনা করা কিংবা তাঁর ইবাদতে অন্য কোন শক্তি বা প্রাকৃতিক পদার্থকে শামিল করাও শিরক। জনাব মালেকী বলেন, আল্লাহ তা’য়ালার পরিভাষায় শিরক একটি গুরুতর অপরাধ। পবিত্র কোরআনের সূরা লোকমানে আল্লাহপাক ইরশাদ করেন, ‘সে কথা স্বরণ কর, যখন লোকমান তার ছেলেকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলল, হে আমার পুত্র! আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না। নিশ্চয়ই শিরক খুবই বড় জুলুম’ (লুকমান-১৩)। তিনি বলেন, শিরকের গুনাহ আল্লাহ কখনো ক্ষমা করবেন না। বরং তিনি মুশরিকদের জন্য জান্নাতকে হারাম করে দিয়েছেন, তিনি বলেন, ‘নিশ্চয়ই যে আল্লাহর সাথে শরীক করে, তার উপর অবশ্যই জান্নাত হারাম করে দিয়েছেন এবং তার ঠিকানা আগুন। আর যালিমদের কোন সাহায্যকারী নেই।’ (সূরা মায়েদাহ-৭২)
সুতরাং ঈমান ও ইবাদতকে সম্পূর্ণভাবে শিরকমুক্ত রাখতে হবে। কারন কবিরাহ গুনাহগুলোর মধ্যে অন্যতম প্রধান ভয়ংকর গুনাহ হচ্ছে শিরক। রাসূল (সাঃ) ইরশাদ করেন, তিনি সাহাবীদেরকে বলেন, আমি কি তোমাদেরকে সবচেয়ে বড় গুনাহগুলোর সংবাদ দেবো না? এ কথা রাসূল (সাঃ) তিনবার বলেন, রাসূল (সাঃ) বললেন, বড় গুনাহ হলো, আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা, পিতা-মাতাকে কষ্ট দেয়া, এবং মিথ্যা স্বাক্ষী দেয়া (বুখারী ২৬৫৪)। পরিশেষে খতিব সাহেব ধর্মপ্রান মুসল্লীদেরকে ইবাদত ঈমানকে নির্ভেজাল রাখার ব্যাপারে সর্বোচ্চ সর্তকতা অবলম্বন করার উদাত্ত আহবান জানিয়ে বিশেষ দোয়া মুনাজাতের মাধ্যমে আলোচনা ও নামায করেন।