শুক্রবার, ১৫ই আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

স্বৈরাচারী সরকার তরুণদের ভবিষ্যৎ কেড়ে নিয়েছিল: উপদেষ্টা উপদেষ্টা আসিফ

স্বৈরাচারী সরকার তরুণদের ভবিষ্যৎ কেড়ে নিয়েছিল: উপদেষ্টা উপদেষ্টা আসিফ
১১৫ Views

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেছেন, “বাংলাদেশের অতীতের স্বৈরাচারী সরকার তরুণদের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়েছিল, তাদের কণ্ঠরোধ করেছিল এবং ভবিষ্যৎ ছিনিয়ে নিয়েছিল।”

আজ রাজধানীর এক হোটেলে আয়োজিত ‘কমনওয়েলথ চার্টার যুব কর্মশালা বাংলাদেশ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, “আমাদের ইতিহাসে এমন এক অন্ধকার অধ্যায় ছিল, যেখানে বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম ও নির্বাচনী অনিয়ম বহু পরিবারকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। অনেক তরুণ কখনো স্বাধীনভাবে ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি, কেউ কখনো সুষ্ঠু নির্বাচন দেখেইনি। অথচ তারাই ছিল পরিবর্তনের আলোকবর্তিকা— যারা গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের জন্য লড়েছে। তাদের সাহস, আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের ফলেই আমরা আজ স্বৈরাচারী শাসন থেকে মুক্ত।”

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ আরও বলেন, “বর্তমান সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা উপলব্ধি করেছি— কেবল শাসন ব্যবস্থা পরিবর্তন যথেষ্ট নয়, এটি জাতীয় আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের বিষয়। সেই কারণে আমরা বিভিন্ন সংস্কারমূলক উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। এর আওতায় ইতিমধ্যে একাধিক কমিশন গঠিত হয়েছে, যারা বিভিন্ন মহলের সঙ্গে আলোচনা করে সুপারিশ জমা দিয়েছে। অনেক প্রস্তাব বাস্তবায়নের প্রক্রিয়ায় রয়েছে, বাকিগুলো নিয়ে কাজ চলছে।”

তিনি বলেন, “আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে চাই, যেখানে গণতন্ত্র কখনোই হুমকির মুখে পড়বে না, মৌলিক অধিকার ও মর্যাদা সুরক্ষিত থাকবে। তবে এই লক্ষ্য অর্জনে শুধু সরকারের পক্ষে যথেষ্ট নয়, তরুণ প্রজন্মসহ সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ জরুরি।”

কমনওয়েলথ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কমনওয়েলথ চার্টার হলো আমাদের যৌথ বিশ্বাসের ভিত্তিতে গঠিত একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এটি শান্তি, আইনশাসন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের প্রতীক। এটি কোনো কাগুজে আদর্শ নয়— আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে এই চার্টারের মূল্যবোধ বাস্তবায়ন করতে হবে।”

অনুষ্ঠানের প্রধান আলোচক কমনওয়েলথের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক লুইস ফ্রান্সেসি বলেন, “আজকের সিদ্ধান্তই আপনাকে গড়ে তুলবে। আগামী ৩০ বছরে আপনি কী হবেন, তা নির্ভর করবে আপনার আজকের কাজের ওপর।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ এবং বিশ্ব পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। আপনাদের মতো তরুণরাই এই পরিবর্তনের চালিকাশক্তি। আসুন, আমরা একসাথে এগিয়ে যাই— গণতন্ত্রকে আরও শক্তিশালী, শাসনব্যবস্থাকে আরও জবাবদিহিমূলক এবং সমাজকে আরও মানবিক করে গড়ে তুলি।”

শেষে তিনি বলেন, “পরিবর্তন কেবল কথার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়— আসুন আমরা কাজ করে সেই পরিবর্তন নিশ্চিত করি।”

Share This