রবিবার, ২৭শে জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

লালমাইয়ে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারীদের যৌন হয়রানির বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

লালমাইয়ে যুব উন্নয়ন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নারীদের যৌন  হয়রানির বিচারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
১৫ Views

           

নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার লালমাইয়ে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ নিতে আসা ১০ জন নারী প্রশিক্ষণার্থীকে অফিসে ডেকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠেছে উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহানের বিরুদ্ধে। অভিযোগ দেয়ার ২৬ দিন পেরিয়ে গেলেও দৃশ্যমান কোনো তদন্ত বা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নেয়ায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীরা।

            গত সোমবার (২১শে জুলাই) বিকেলে ওই ঘটনার বিচারের দাবিতে কুমিল্লা-নোয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের লালমাই থানার সামনে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থী, সচেতন নাগরিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের প্রতিনিধিরা।

            শিক্ষার্থী প্রতিনিধি আবদুল্লাহ আল ইমনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, লালমাই প্রেসক্লাব সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান মজুমদার, বাগমারা উত্তর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মনির হোসেন ডালিম, যুবদল নেতা বেলায়েত হোসেন সোহেল, কবির হোসেন, এনসিপির উপজেলা সদস্য রহুল আমিন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের লালমাই উপজেলা আহ্বায়ক নোমান হোসেন, সদস্য সচিব সাদ্দাম হোসেনসহ ভুক্তভোগী নারী প্রশিক্ষণার্থীরা।

            এছাড়া, স্থানীয় স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরাও কর্মসূচিতে অংশ নেন।

            ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, প্রশিক্ষণে অংশগগ্রণের জন্য আবেদন করার পর মোবাইল ফোনে নানা অজুহাতে অফিসে আলাদাভাবে তাদের ডেকে পাঠান উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা। গত ২৬শে জুন তিনি একাধিক নারী প্রশিক্ষণার্থীকে অফিসে ডেকে নিয়ে যৌন হয়রানি করেন। পরে গত ১০ই জুলাই ১০ জন নারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। অভিযোগের পর থেকে অভিযুক্ত কর্মকর্তা কর্মস্থলে অনুপস্থিত।

            উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস সূত্রে জানা গেছে, যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের আওতায় ‘টেকাব-২য় পর্যায়’ প্রকল্পের আওতায় একটি ভ্রাম্যমাণ কম্পিউটার ভ্যানে দুই মাসব্যাপী প্রশিক্ষণ চলছে। প্রতিদিন চারটি শিফটে ২০ জন নারী ও ২০ জন পুরুষ প্রশিক্ষণার্থী অংশ নিচ্ছেন। এসি বাসের ভেতরে ১০টি কম্পিউটার বসানো রয়েছে।

অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহজাহান বলেন, ‘আমি কাউকে যৌন হয়রানি করিনি। আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। তদন্ত হলেই সত্য বেরিয়ে আসবে।’

            লালমাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিমাদ্রী খীসা জানান, ‘১০ জন নারী লিখিত অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি তদন্তে তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং তা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

Share This

COMMENTS