শনিবার, ২রা আগস্ট, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

স্বর্ণের কলসির লোভে পড়ে গৃহবধূ ‘সর্বস্বান্ত’

স্বর্ণের কলসির লোভে পড়ে গৃহবধূ ‘সর্বস্বান্ত’
Views

            নিজস্ব প্রতিনিধি\ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ৭টি সোনার কলসির লোভ দেখিয়ে রহিমা আক্তার (২৫) নামে এক গৃহবধূর কাছ থেকে ৭ ভরি স্বর্ণ ও ৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার এক গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ।

            গত শনিবার (২৬শে জুলাই) সন্ধ্যায় উপজেলা সদরের মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রধান ফটকের ভেতরে এ ঘটনাটি ঘটে। প্রতারণার শিকার গৃহবধূ রহিমা আক্তার উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের নাগাইশ এলাকার মজম আলী দুধ বেপারি বাড়ির কামাল হোসেনের স্ত্রী।

            এ ঘটনায় কামাল হোসেন ও তার স্ত্রী সর্বস্ব হারিয়ে মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন। এলাকায় এ ঘটনাটি নিয়ে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

            থানায় দেয়া অভিযোগ ও ভুক্তভোগী গৃহবধূ সূত্রে জানা গেছে, অপরিচিত মোবাইল নম্বর থেকে ওই গৃহবধূকে গত কিছুদিন ধরে ৭টি স্বর্ণের কলসির লোভ-লালসা দেখিয়ে আসছিল একটি প্রতারকচক্র। ওই চক্রটি গৃহবধূকে বলেছিল সেই স্বর্ণের কলসিগুলো পেতে হলে তাকে ৭ ভরি স্বর্ণ ও ৭ লাখ টাকা দিতে হবে।

            এর প্রেক্ষিতে ওই গৃহবধূ তার স্বামীকে না জানিয়ে অবশেষে স্বর্ণের কলসির লোভে নিজের ঘরে থাকা ৭ লাখ টাকা ও ৩ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার এবং আশপাশের ঘর থেকে সংগ্রহ করে আরও ৩ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার নিয়ে প্রতারক চক্রের দেয়া স্থানে শনিবার সন্ধ্যায় উপজেলার সদর ইউনিয়নের মোশাররফ হোসেন খান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের প্রধান ফটকের ভেতরে যায়। এ সময় ওই প্রতারক চক্রটি তার কাছ থেকে এসব স্বর্ণালংকার ও টাকা হাতিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। এক পর্যায়ে ওই গৃহবধূ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসলে প্রতারক চক্রের সদস্যদের হন্যে হয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। পরে সেই চক্রটিকে আর খুঁজে পায়নি।

            ভুক্তভোগী গৃহবধূ রহিমা আক্তার বলেন, গত কিছুদিন ধরে একটি অপরিচিত মোবাইল ফোন থেকে আমাকে ফোন করে বলে আমি ৭টি সোনার কলস পেতে যাচ্ছি। তবে কলসগুলো পেতে হলে আমাকে ৭ ভরি স্বর্ণ ও ৭ লাখ টাকা দিতে হবে। প্রথমে আমি এই বিষয়টি গুরুত্ব না দিলেও পরে কীভাবে যে তাদের ফাঁদে পড়ে যাই। আমার স্বামী এই ৭ লাখ টাকা বাড়ির কাজের জন্য রেখেছিলেন। তাদের ফাঁদে পড়ে আমরা সর্বস্ব হারিয়ে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি।

            এ ব্যাপারে ব্রাহ্মণপাড়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) টমাস বড়–য়া বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগী গৃহবধূর একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলমান রয়েছে।

Share This

COMMENTS