লাকসামে পরকীয়ায় বাধা দেয়ায় শ্বশুরের পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যা মামলায় পুত্রবধূর যাবজ্জীবন কারাদন্ড


ষ্টাফ রিপোর্টার\ কুমিল্লার লাকসামে পরকীয়া প্রেমে বাধা দেয়ায় মো. চাঁন মিয়া (৭০) নামে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত ও পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যার দায়ে পুত্রবধূ তাসলিমা আক্তারকে (৪১) যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড ও অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড দেয়া হয়েছে।
গত বৃহস্পতিবার (১৯ে জুন) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক ফরিদা ইয়াসমিন এ রায় ঘোষণা করেন। বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ বিল্লাল হোসেন ভূইয়া এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দন্ডপ্রাপ্ত তাসলিমা আক্তার জেলার লাকসাম উপজেলার আজগরা ইউনিয়নের আশকামতা গ্রামের মো. বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী। নিহত চাঁন মিয়া স্থানীয় একটি মসজিদের মোয়াজ্জেমের দায়িত্ব পালন করতেন।
আদালত সূত্র জানায়, নিহত মো. চাঁন মিয়ার ছেলে মো. বিল্লাল হোসেন ঢাকায় একটি কারখানায় চাকরি করার সুবাদে তিনি সেখানে থাকতেন। সেই সুযোগে তার স্ত্রী তাসলিমা আক্তার একাধিক পুরুষের সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। বিষয়টি জানতে পেরে পুত্রবধূকে বাধা দেয়া হলে ২০১৪ সালের ১০ই জুলাই রাতে ধারালো ছুরি দিয়ে বুকে আঘাত করে এবং বেøড দিয়ে শ্বশুর চাঁন মিয়ার পুরুষাঙ্গ কেটে হত্যা করেন তাসলিমা। এ ঘটনার পরদিন ১১ই জুলাই লাকসাম থানায় নিহত চাঁন মিয়ার অপর ছেলে মো. বাবুল মিয়া (৩৫) বাদী হয়ে তাসলিমাসহ অজ্ঞাতনামা ২ থেকে ৩ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
প্রাথমিকভাবে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মো. এনামুল হক ২০১৪ সালের ১০ই অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন (অভিযোগপত্র নং-১৪৫)। ২০১৫ সালের ২৯শে মার্চ মামলার চার্জগঠন করে সাক্ষ্য গ্রহণ এবং আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি নেয়।
গত বৃহস্পতিবার দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ পঞ্চম আদালতের বিচারক ফরিদা ইয়াসমিন তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড প্রদান করেন। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা অর্থদন্ড, অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়।