শনিবার, ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ‘আওয়ামী লীগ’ নিয়ে  দেয়া বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার ‘আওয়ামী লীগ’ নিয়ে দেয়া বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ

            ষ্টাফ রিপোর্টার\ অন্তর্র্বতী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন নিজের বক্তব্যের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, অনেক কথার মধ্যে অনেক কথা চলে আসে। যদি আমি এমন কোনো কথা বলে থাকি, সেটা ভুল বুঝেছেন, সেটার জন্য আমি দুঃখিত।

            গত সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বী নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জানিয়েছিলেন, দয়া করে আপনারা দেশকে অরাজকতার মধ্যে ঠেলবেন না, ইনকুডিং সদ্য বিদায় হওয়া পার্টি (আওয়ামী লীগ)। আপনারা পার্টি গোছান। আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আপনাদের সাহায্য করবো। আপনারা পার্টি গোছান উইথ নিউ ফেইস (নতুন মুখ নিয়ে), উইথ নিউ অঙ্গীকার এবং আশা করি উইথ থ্ররু পলিটিক্যাল পার্টি অ্যাক্ট (রাজনৈতিক আইনের মধ্য দিয়ে)।

            গতকাল মঙ্গলবার (১৩ই আগস্ট) দুপুরে পিলখানার বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরে বিজিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিজিবি সদস্যদের খোঁজখবর নেয়ার পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ দুঃখ প্রকাশ করেন।

            তিনি বলেন, আমি ছাত্রদের উদ্দেশে বলব- তোমাদের আন্দোলন কেউ ছিনিয়ে নিতে পারবে না। এই আন্দোলনের তো ইমেজ আছে।

            স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, পুলিশ খুবই অনুতপ্ত। আমি এখানে (পিলখানা) আসার সময়ও দেখলাম পুলিশের সঙ্গে ছাত্ররা কাজ করছে। পুলিশকে যারা দানব বানিয়েছে, তাদের অবশ্যই বিচার হবে। একটু সবুর করেন। সরকারি অ্যাকশন নিতে গেলে অনেক প্রসেস আছে। সুতরাং ধৈর্য ধরতে হবে।

            পুলিশের যোগদান সম্পর্কে তিনি বলেন, সবাই যোগ দিচ্ছে। আগামী বৃহস্পতিবার (১৪ই আগস্ট) বলতে পারব কয়জন আসছে, কয়জন আসেনি। আর আপনারা তো দেখছেন পুলিশ আমার সঙ্গে আছে।

            ছাত্র আন্দোলনে মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্ত পুলিশদের বিরুদ্ধে সরকারি নীতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, এরই মধ্যে রাষ্ট্রপতির কাছে একটি তালিকা দেয়া হয়েছে। বাকিদের তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যেই পুলিশ কমিশন তৈরির ব্যাপারে আলোচনা হয়েছে। কমিশন হয়ে গেলে সেই নিয়মে পুলিশ চলবে।

            অন্তর্র্বতী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন আরও বলেন, পুলিশ আমাকে বলেছে, এই ইউনিফর্ম পরে একদিনও বের হতে চাই না। আমি বলেছি, এটার জন্য তো সময় লাগবে। যারা ছাত্র, কোটার আন্দোলনের মধ্যে ছিলেন তাদের বলছি, আপনারা ডিজাইন, ব্যাচ নিয়ে আসেন। আমরা যতো দ্রæত সম্ভব ইউনিফর্ম চেঞ্জ করতে চাই।

            এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, পুলিশরা ভবিষ্যতে যেন মানবিক পুলিশ হয় সে জন্য আমরা পুলিশ কমিশন গঠনের চিন্তাভাবনা করছি। পুলিশ সদস্যরাও বলেছেন, পুলিশ কমিশনের অধীনে তারা থাকতে চাই। রাজনৈতিকভাবে ব্যবহার হতে চাই না।

            ১৫ই আগস্ট ছুটির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এটা এখনই আমি বলতে পারব না। আজ বিকেলে আমরা বসব, সেখানে এটা নিয়ে আলোচনা হবে। যেটা হয় আমরা নির্ধারণ করব। সেদিন প্রচুর পরিমাণ পুলিশ মোতায়েন করা হবে- কোনো ধরনের গন্ডগোল যাতে না হয়। সুত্র: ইত্তেফাক

Share This

COMMENTS