রবিবার, ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

দেবীদ্বার পৌর সড়কে ময়লার ভাগাড়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আতংক

দেবীদ্বার পৌর সড়কে ময়লার ভাগাড়ে বাড়ছে ডেঙ্গু আতংক

Views

            মোহাম্মদ শরিফুল আলম চৌধুরী\ কুমিল্লার দেবীদ্বার পৌর শহরের আনাচে-কানাচে এমনকি বিভিন্ন সড়ক ও মহাসড়কের পাশে স্থায়ীভাবে গড়ে উঠেছে ময়লার ভাগাড়। আর সেখান থেকে দিন-রাত সার্বক্ষণিক পচা দুর্গন্ধ ছড়িয়ে দূষিত হচ্ছে এলাকার পরিবেশ। পাশাপাশি ময়লার স্তূূপগুলো এখন মশা উৎপাদনের উর্বর ভূমিতে পরিণত হয়েছে। এতে পৌর এলাকায় মশার উপদ্রব ভয়ানক হারে বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে ডেঙ্গু আতংক।

এ মূহূর্তে  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৮ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ২০০২ সালে প্রতিষ্ঠিত দেবীদ্বার পৌরসভা দীর্ঘ ২১ বছর পর গত ১৭ই জুলাই প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। পৌরসভায় বর্তমানে লোকসংখ্যা লক্ষাধিক। কিন্তু নাগরিক সুবিধা রয়েছে আগের মতোই। প্রায় প্রতিটি সড়কই চলাচলের অযোগ্য, ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। বিল্ডিং কোড না মেনে সড়কের ওপরই যে যেভাবে পারছে নির্মাণ করছেন ছোট-বড় ঘরবাড়ি ও বহুতল ভবন। বিভিন্ন স্থানে ডোবা নালাগুলো সারা বছরই ভরে থাকে আবর্জনা ও কচুরিপানায়। বিশেষ করে পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ড বড় আলমপুর এলাকায় কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কের পাশে স্থায়ীভাবে গড়ে উঠেছে ময়লা আবর্জনার ভাগাড়। যা থেকে মশা উৎপাদনসহ ছড়াচ্ছে বিভিন্ন রোগবালাই। তাছাড়া দুর্গন্ধে নাকে কাপড় দিয়ে পথচারীদের চলাচল করতে হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে বার বার অভিযোগ দেওয়ার পরও পৌর কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এমনকি মশা নিধনের জন্য পৌরসভায় উন্নতমানের একাধিক ফগার মেশিন থাকলেও তা মাঝে মাঝে ব্যবহার করা হয় শুধু লোক দেখানোর জন্য। এ কারণে পৌর এলাকায় মশার উপদ্রব দিন দিনই বাড়ছে। আর সেইসঙ্গে জনসাধারণের মাঝে বাড়ছে ডেঙ্গু আতঙ্ক।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে পৌর এলাকার একাধিক নাগরিক জানান, পৌরসভার অধিকাংশ সড়কই খানাখন্দে একাকার। ড্রেনেজ ব্যবস্থা তেমন নেই বললেই চলে। যে দু’চারটি আছে তা খুবই নোংরা অবস্থায় পড়ে আছে। তাছাড়া বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে মোড়ে বাসাবাড়ির ময়লা আবর্জনা ফেলে রাখায় মশা উৎপাদনের কারখানাসহ দুর্গন্ধে চলা দায় হয়ে পড়েছে। এমনকি এসব ময়লার কারণে দিনে বা রাতে মশার কামড়ে বাসাবাড়িতে বাস করা দুষ্কর হয়ে উঠেছে। এমনকি ডেঙ্গু আতঙ্কে রয়েছেন পৌরবাসী।

দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা. মঞ্জুর রহমান ও কুমিল্লার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নাজমুল জানান, এ পর্যন্ত ৬৫ জন রোগীর ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৮ জনকে কুমিল্লা মেডিক্যালে উন্নত চিকিৎসার জন্য ও ৪৮ জনকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে ৮ রোগী ভর্তি রয়েছেন। তাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসহ যথাযথ পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, সারা দেশেই ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাব মারাত্মকভাবে বাড়লেও দেবীদ্বারে সে হিসেবে অনেকটাই ভালো।

দেবীদ্বার পৌর মেয়র সাইফুল ইসলাম শামীম বলেন, মশানিধনে ফগার মেশিন দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় স্প্রে করা হয়েছে। তা ছাড়া ড্রেনগুলোও পরিষ্কার করা হচ্ছে।

Share This

COMMENTS