শনিবার, ১২ই জুলাই, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

ভোটকেন্দ্র স্থাপনে ডিসি-ইউএনও নেতৃত্বে কমিটি বাতিল: নতুন নীতিমালা জারি করেছে ইসি

ভোটকেন্দ্র স্থাপনে ডিসি-ইউএনও নেতৃত্বে কমিটি বাতিল: নতুন নীতিমালা জারি করেছে ইসি
৭৪ Views

জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপনসংক্রান্ত নতুন নীতিমালায় জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের (ইউএনও) নেতৃত্বে কমিটি গঠনের বিধান বাদ দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন (ইসি) ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনা নীতিমালা–২০২৫’ নামে এই নতুন নীতিমালা গেজেট আকারে প্রকাশ করেছে।

এর আগে ইসির কর্মকর্তারাই ভোটকেন্দ্র স্থাপনের দায়িত্ব পালন করতেন। তবে গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশন প্রশাসন ও পুলিশ কর্মকর্তাদের যুক্ত করে নীতিমালায় পরিবর্তন এনেছিল। এতে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়। এবার নতুন নীতিমালার মাধ্যমে সেই বিতর্কিত ধারা বাতিল করে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের দায়িত্ব পুনরায় ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের হাতে ফিরিয়ে আনা হলো।

পূর্ববর্তী নীতিমালায় বলা হয়েছিল, উপজেলা পর্যায়ে ইউএনও’র নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের কমিটি এবং জেলা পর্যায়ে ডিসির নেতৃত্বে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করে ভোটকেন্দ্রের খসড়া তালিকা তৈরি করা হবে। সেই তালিকা জেলা বা মহানগর পর্যায়ের কমিটির মাধ্যমে পর্যালোচনা শেষে নির্বাচন কমিশনে পাঠানো হতো। ওইসব কমিটিতে ওসি, শিক্ষা কর্মকর্তা, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এবং জেলা পর্যায়ে পুলিশ সুপার, বিভাগীয় কমিশনারের প্রতিনিধি ও শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারা সদস্য হিসেবে যুক্ত ছিলেন।

নতুন নীতিমালায় এসব কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ফলে এখন ভোটকেন্দ্র স্থাপন ও ব্যবস্থাপনার পুরো দায়িত্ব ইসির মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের ওপর বর্তাবে।

নতুন নীতিমালায় আরও বলা হয়েছে—

  • গড়ে প্রতি ৩,০০০ ভোটারের জন্য একটি ভোটকেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।

  • পুরুষ ভোটারদের জন্য প্রতি ৫০০ জনে একটি এবং নারী ভোটারদের জন্য প্রতি ৪০০ জনে একটি ভোটকক্ষ নির্ধারণ করতে হবে।

  • নদীভাঙন বা অন্য কারণে যদি কোনো ভোটকেন্দ্র বিলুপ্ত/অকার্যকর হয়ে যায়, তাহলে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরামর্শ করে নতুন কেন্দ্র স্থাপন করতে হবে।

  • নতুন ভোটার বাড়ার কারণে কেন্দ্র স্থাপন প্রয়োজন হলে সেটাও স্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করে স্থির করতে হবে।

এছাড়া, ভোটারদের চলাচলের সুবিধা এবং ভৌগোলিক অবস্থান বিবেচনায় রেখে ভোটকেন্দ্র স্থাপনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। বিশেষভাবে বলা হয়েছে, দুটি ভোটকেন্দ্রের দূরত্ব যেন তিন কিলোমিটারের বেশি না হয় এবং কাছাকাছি স্থানে একাধিক ভোটকেন্দ্র না হয়। একইসঙ্গে, ভোটার যেন নিজ এলাকার নিকটবর্তী কেন্দ্রে ভোট দিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি, বিদ্যমান কেন্দ্রগুলো যথাসম্ভব অপরিবর্তিত রাখারও নির্দেশনা রয়েছে।

Share This